Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Covid 19

Covid 19: করোনার ঢেউ সামলাতে তৈরি থাকুক বেসরকারি হাসপাতালগুলি, স্বাস্থ্য দফতরের অনুরোধ

ওমিক্রনে প্রথমে জিন পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয় স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। সেখান থেকে যায় কল্যাণীতে। ফলে অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:০৩
Share: Save:

ফের রাজ্যে বাড়ছে করোনা। ফলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে যাওয়ার আগেই বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে তড়িঘড়ি বৈঠক করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। শুক্রবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব ছাড়াও স্বাস্থ্য দফতরের অন্য কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে হাসপাতালগুলিকে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়ে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর।

জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে এখন থেকেই হাসপাতালগুলিকে শয্যার সংখ্যা বাড়াতে বলেছে স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি কম বয়সীদের টিকাকরণে যাতে কোনও ঘাটতি না হয় সে দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ, কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা এবং রিপোর্ট সম্পর্কে প্রতি দিন ওয়াকিবহাল করতে হবে। ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেলেই সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে। প্রতিটি হাসপাতালে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে কোভ্যাক্সিন মজুত করতে হবে।

ওই বৈঠকে কোভিড মোকাবিলায় কোনও পরামর্শ থাকলে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তা জানাতে বলা হয়েছে। উডল্যান্ডস হাসপাতালের এমডি ও সিইও রূপালি বসু বলেন, ‘‘কোনও কোভিড রোগী ওমিক্রন পজিটিভ কি না তা জানার জন্য জিন পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কল্যাণীতে সপ্তাহে মাত্র দুই দিন চলে ওই পরীক্ষা। আমরা বলেছি এই পরিস্থিতিতে ওই দিনের সংখ্যা যদি বাড়ানো যায় তা হলে ভাল হয়। এবং দ্রুত চিকিৎসাও শুরু করা যাবে।’’

রূপালির ওই দাবির সঙ্গে সহমত হন অন্য হাসপাতালের কর্তারাও। কারণ, এই প্রক্রিয়াটি অনেকটাই দীর্ঘ। কোনও হাসপাতাল ওমিক্রনের উপসর্গ দেখলে প্রথমে তারা সংশ্লিষ্ট রোগীর নমুনা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠায়। সেখান থেকে নমুনা যায় কল্যাণীতে। তার পর নমুনা পরীক্ষা হয়। তা-ও আবার সপ্তাহে দু’দিন। তার পর তা ফের একই পথে পাঠানো হয় হাসপাতালগুলির কাছে। ফলে রোগীর চিকিৎসা শুরুর প্রারম্ভেই অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE