প্রতীকী ছবি।
রাজ্য সরকার স্কুল স্তরে সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের একশো শতাংশকেই বৃত্তি-প্রাপকের তালিকায় আওতায় আনতে চাইছে। তাই পড়াশোনার মান উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে পড়ুয়াদের ধারাবাহিক মূল্যায়নটাও গুরুত্ব দিয়ে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ দেওয়া হয় প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত। প্রি-ম্যাট্রিক মাইনরিটি স্কলারশিপে বছরে দু’হাজার, পোস্ট-ম্যাট্রিক স্কলারশিপে তিন হাজার টাকা পায় সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরা। রাজ্যে অন্যান্য স্কুলের সঙ্গে মাদ্রাসা ও স্কুল মিলিয়ে সংখ্যাটা সংখ্যালঘু পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৮২ লক্ষ। তাদের অর্ধেকই প্রয়োজনীয় নম্বর না-পাওয়ায় কেন্দ্রের প্রি-ম্যাট্রিক স্কলারশিপের যোগ্যতামান ছুঁতে পারেনি। এই বৃত্তি পেতে হলে পড়ুয়ার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পাওয়া জরুরি।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রায় অর্ধেক সংখ্যালঘু পড়ুয়া বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ, যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তাদের মূল্যায়ন হচ্ছে না। মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তা আবিদ হোসেন জানান, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় অর্ধেক সব মাদ্রাসা-পড়ুয়া ৫০ শতাংশ নম্বরও পাচ্ছে না। কেউ কেউ কুড়ির মধ্যে পাচ্ছে চার-পাঁচ। শিক্ষাদানের মান বাড়াতে সব মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘মাদ্রাসার সব ছাত্রছাত্রী যাতে বার্ষিক মূল্যায়নে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর পায়, শিক্ষাদানের সময়ে সেই বিষয়ে শিক্ষকদের মনোযোগী হতে হবে। তা হলে সব পড়ুয়াকে বৃত্তির আওতায় আনা যাবে।’’ শুধু মাদ্রাসা নয়, সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য এই নির্দেশ গিয়েছে অন্যান্য স্কুলেও।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘শিক্ষকেরা যথাযথ মূল্যায়ন করছেন না, এই মন্তব্যে গোটা শিক্ষকসমাজকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। পড়ুয়ারা প্রয়োজনীয় নম্বর পাচ্ছে না কেন, কেন্দ্র তা তদন্ত করে দেখতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy