‘খেলা হবে’ প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে এ বার হাঁটছে রাজ্য। —ফাইল চিত্র।
শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে একশো দিনের কাজের কার্যত সমান্তরাল কর্মসূচি হিসাবে ‘খেলা হবে’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ঘোষণার বাস্তবায়নের পথে এ বার হাঁটছে রাজ্য। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি প্রশাসনের শীর্ষমহল সব দফতরকে নির্দেশ দিয়েছে, জবকার্ড থাকা শ্রমিকদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করতেই হবে দ্রুত। তবে সব দফতরের পক্ষে কি সেই কাজ করা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আমলা মহলেই। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যত দিন না কেন্দ্র ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা দিচ্ছে, তত দিন রাজ্য সরকারই নিজের খরচে ‘খেলা হবে’ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, “বাড়ি, রাস্তাঘাট তৈরির টাকা বন্ধ। একশো দিনের কাজের লোকেরা মাথায় ঝুড়ি করে মাটি নিয়ে গেছে। তাদের সাত হাজার কোটি টাকা দেয়নি। নিয়ম ছিল, ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দিতে হবে। কেন্দ্র কি একা টাকা দেয়? জিএসটি ব্যবস্থা চালুর পরে রাজ্যকে না দিয়ে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যের ভাগের টাকা দিচ্ছে না। দিচ্ছে না ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকাও। প্রধানমন্ত্রীকে চার-পাঁচ বার দেখা করে বলেছি। মন্ত্রী, সাংসদদের দল গিয়েছে। কত বার বলতে হবে? কেন্দ্রীয় বাজেটে এ রাজ্যকে শূন্য দিয়েছে। একশো দিনের কাজে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের ২৮ দিনের কাজের ব্যবস্থা করেছি নিজেদের টাকায়। আগামী দিন টাকা পুরোপুরি বন্ধ করলে, কর্মসূচি তৈরি করব। ছ’মাস পরে ওরা (কেন্দ্রে বিজেপি সরকার) থাকবে না।”
সব দফতরকে নিয়ে সাম্প্রতিক একটি বৈঠকে সরকারের শীর্ষমহল জানিয়েছে, ৫৬টি দফতরকেই এ কাজে যুক্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৫.৭৭ লক্ষ জবকার্ডধারীকে কাজে লাগানো হয়েছে। তৈরি করা গিয়েছে প্রায় ৭.৩৮ কোটি কর্মদিবস। এখনও পর্যন্ত শ্রমিকদের মজুরি মেটাতে প্রায় ১৬৮৭ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। ‘পথশ্রী’ প্রকল্পে রাস্তা তৈরির ৮৪৬৬টি প্রকল্পে ৩.৯০ লক্ষ জবকার্ডধারীকে কাজে লাগানো হয়েছে। তাঁদের মজুরি বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই প্রত্যেক দফতরকে বলা হয়েছে, জবকার্ডধারী শ্রমিকদের কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করতেই হবে। এখনও পর্যন্ত যে অগ্রগতি, আরও বাড়াতে হবে তা। নির্দিষ্ট পোর্টালে নিয়মিত সেই তথ্য তুলতেও হবে।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকেরা অবশ্য দাবি করছেন, এ নিয়ে রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্যে অর্থ, কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার, বিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষার মতো এমন অনেক দফতর রয়েছে, যাদের শ্রমনিবিড় প্রকল্প সাধারণত থাকে না। তাদেরও জবকার্ডধারীদের কাজে লাগাতে বলা হয়েছে। আবার এমন অনেক দফতর রয়েছে, যেগুলি সেচ, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরির মতো পুরোপুরি শ্রমনির্ভর। কিন্তু তারা বেশিরভাগই কাজ করে ঠিকাদারের মাধ্যমে। তাতে ঠিকাদার কাকে কী ভাবে কাজে লাগাবে, তা সংশ্লিষ্টের উপর নির্ভরশীল। ফলে এ ক্ষেত্রে সরকার কী ভাবে এই বিষয়গুলি সমন্বয় করবে, তা স্পষ্ট নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy