Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
State news

আজ থেকেই ‘দুয়ারে সরকার’, রাজ্য জুড়ে খোলা হচ্ছে ২০ হাজার শিবির

আগামিকাল মঙ্গলবার থেকেই ওই শিবিরগুলি খোলা হবে।

২০ হাজার শিবির খোলা হবে রাজ্য জুড়ে। শিবির চলবে দু’মাস ধরে।। -ফাইল চিত্র।

২০ হাজার শিবির খোলা হবে রাজ্য জুড়ে। শিবির চলবে দু’মাস ধরে।। -ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২০ ১৮:০৩
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো রাজ্য জুড়ে চালু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। সে কারণেই রাজ্য জুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পুরসভার ওয়ার্ড স্তর পর্যন্ত একাধিক শিবিরের আয়োজন করবে রাজ্য সরকার। ওই শিবির থেকে স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত মানুষের যাবতীয় অভিযোগ শুনবেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। আজ, মঙ্গলবার থেকেই ওই শিবিরগুলি খোলা হবে। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ৪ রাউন্ডে ২০ হাজার শিবির খোলা হবে রাজ্য জুড়ে। শিবির চলবে দু’মাস ধরে।

রাজ্য সরকারের ১০টিরও বেশি প্রকল্পের সুযোগসুবিধা থাকবে ওই শিবিরে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট উপভোক্তার নথি সংক্রান্ত কোনও ভুল থাকলে, তা-ও সংশোধন করা যাবে এই শিবির থেকে। শিবির পরিচালনা করবেন বিডিও, মহকুমাশাসক, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা। গত ২৬ নভেম্বর রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করে ওই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিল। কর্মসূচি চলবে ১ ডিসেম্বর থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই মতো মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে ওই কর্মসূচি।

এই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, রূপশ্রী ও কৃষক বন্ধুর মতো ১০টি প্রকল্প রয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে রাজ্যের প্রতিটি পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাবে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে ওই পরিবারগুলিকে ১ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়ার কথা সোমবার জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।

আরও পড়ুন: খোশমেজাজে খোল বাজালেন শুভেন্দু, নন্দীগ্রামে বোঝালেন হরিনামের মাহাত্ম্য

একইসঙ্গে ওই শিবির থেকে খাদ্যসাথী প্রকল্পের কাজও হবে। যাঁদের রেশন কার্ড নেই, কুপনের মাধ্যমে রেশন পান, তাঁদের রেশন কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। নাম, ঠিকানা-সহ এই শিবিরে ডিজিটাল রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করা যাবে। যাঁদের জাতি শংসাপত্রের সার্টিফিকেট নেই, তাঁদেরকেও সাহায্য করা হবে। ওই শিবির থেকে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে তফসিলি জাতি ও উপজাতি মানুষদের জন্য ‘তফসিলি বন্ধু পেনশন প্রকল্প’-এ নাম নথিভুক্ত করা হবে। এই প্রকল্পে মাসিক ১ হাজার টাকা ভাতা সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।

আরও পড়ুন: কোনও মুসলিমকে ভোটের টিকিট দেব না, ঘোষণা বিজেপি মন্ত্রীর

এ ছাড়া শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন তফসিলি জাতি ও উপজাতির ছাত্রছাত্রীরা। এই প্রকল্পে আওতায় বছরে ৮০০ টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হবে তাঁদের। গত লোকসভা নির্বাচনে আদিবাসী ভোট হাতছাড়া হয়েছিল তৃণমূলের। সে কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

কৃষকবন্ধু প্রকল্পে যে কৃষকদের নাম নেই, তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। এ ছাড়া শিবিরে থাকা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অফিসারদের কাছে পরচার রেকর্ড সংশোধন করতে পারবেন কৃষকরা। এ ছাড়া সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য আর্থিক সাহায্যের প্রকল্প ঐক্যশ্রীতে নাম নথিভুক্ত করা যাবে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে। একইসঙ্গে এই কর্মসূচিতে থাকবে কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের সুযোগ সুবিধাও।

অন্য বিষয়গুলি:

Nabanna Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy