—ফাইল চিত্র।
চলতি আর্থিক বছরে রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণে ব্যাপক ভাবে ঝাঁপাচ্ছে পূর্ত দফতর। প্রতিটি জেলা সদরের সঙ্গে মহকুমা সদর এবং মহকুমা সদরের সঙ্গে পাশের মহকুমা সদরের যোগাযোগের সব রাস্তা এক বছরের মধ্যে চওড়া ও উন্নত করা হবে। সব মিলিয়ে এই খাতে সাত হাজার কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কোনও অর্থবর্ষে রাজ্য সড়কের হাল ফেরাতে এত বিপুল বিনিয়োগ শেষ কবে হয়েছে, পূর্ত দফতরের অনেকেই তা স্মরণ করতে পারছেন না।
পূর্তকর্তারা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে বহু রাজ্য সড়ক উন্নীত হয়েছে জাতীয় সড়কে। বহু মোরাম বা দুর্বল পিচের রাস্তা পাকা হয়েছে। গ্রামের অধিকাংশ রাস্তায় পিচ পড়েছে। কিন্তু জেলা ও মহকুমা সদরের সঙ্গে সংযোগকারী বহু পুরনো পাকা রাস্তার তেমন উন্নতি হয়নি। চলতি অর্থবর্ষে সব জেলা সদর ও মহকুমা সদরের সংযোগকারী রাস্তা উন্নত করা হবে। এক পূর্তকর্তা বলেন, ‘‘অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে দেশ জুড়ে জাতীয় সড়কের ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছিল। সোনালি চতুর্ভুজ নামক সেই প্রকল্প এখনও মুখে মুখে ঘোরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই মডেলেই রাজ্য সড়কের উন্নয়নে নামছেন।’’ পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে সব জেলা সদরে পৌঁছনোর রাস্তা চার লেনে পরিণত হবে। অন্য কোনও রাজ্যে এমন হয়েছে বলে জানি না।’’
৮ এপ্রিল পূর্তকর্তাদের বৈঠকে গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলা সদরের সঙ্গে সংযোগকারী পাশের জেলা সদরের রাস্তা চার লেনে সম্প্রসারিত হবে। জেলা সদরের সঙ্গে সব মহকুমা যুক্ত হবে ১০ মিটার চওড়া দু’লেনের রাস্তার সাহায্যে। একটি মহকুমা সদর পাশের সব মহকুমা সদরের সঙ্গে যুক্ত হবে ১০ মিটার চওড়া রাস্তা দিয়ে। প্রতিটি মহকুমা ব্লক সদরের সঙ্গে দু’লেনের রাস্তা দিয়ে যুক্ত হবে। সেগুলি এখনই ১০ মিটার চওড়া হচ্ছে না। নবান্ন এ মাসেই রাস্তার তালিকা পেশের নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পূর্ত দফতরের একাংশ জানাচ্ছেন, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে তাঁরা পরিকল্পনা খাতে ৪৭০২ কোটি টাকা খরচ করেছেন। প্রশাসনিক মহলে যা প্রশংসিত হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে বাজেট বরাদ্দ ৪০৮০ কোটি টাকা হলেও অর্থ দফতর বলেছে, পূর্ত বাজেট বছরের শেষে বাড়িয়ে ৭০০০ কোটি পর্যন্ত করা যেতে পারে। রাস্তা সম্প্রসারণের প্রস্তাব পেশের পরেই বাজেট বাড়াতে রাজি হয়েছে তারা।
পূর্ত ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ জানান, এখন অধিকাংশ জেলা সদর সংযোগকারী রাস্তা দু’লেনের। মহকুমা সদর সংযোগকারী রাস্তা এখনও যথেষ্ট চওড়া নয়। ব্লকে পৌঁছতে ভরসা এখনও এক বা দেড় লেনের রাস্তা। নতুন নীতি গ্রহণের ফলে ব্লক স্তর পর্যন্ত সব রাস্তা দু’লেনের, মহকুমা স্তর পর্যন্ত সব রাস্তা ১০ মিটার চওড়া এবং জেলা সদরে সংযোগকারী রাস্তাগুলি চার লেনের হয়ে যাবে। ফলে চার লেনের জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্য সড়কে পড়লেই যে-অভাব টের পাওয়া যেত, সেটা অতীত হয়ে যেতে পারে। এই পরিকল্পনায় রাজ্যের সড়ক পরিকাঠামো আমূল বদলে যাবে বলেই ধারণা পূর্তকর্তাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy