ফাইল চিত্র
৩ বছরে কি চিকিৎসক হওয়া সম্ভব? বৃহস্পতিবার রাজ্যে ডাক্তারির ডিপ্লোমা কোর্স চালু করার যে প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন, তা খতিয়ে দেখতে এ বার একটি বিশেষ কমিটি গঠন করল রাজ্য। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি ওই কমিটি দেখবে, ৩ বছরের মধ্যে সবরকম প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে ‘চিকিৎসা পরিষেবার পেশাদার’ (হেল্থ কেয়ার প্রফেশনাল) তৈরি করা যায় কি না।
চিকিৎসক হওয়ার জন্য এ দেশে ন্যূনতম ৫ বছরের প্রশিক্ষণ দরকার হয়। তবেই মেলে এমবিবিএস ডিগ্রি। যদিও বৃহস্পতিবার মমতা প্রস্তাব দিয়েছেন, ‘‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে যেমন ডিপ্লোমা কোর্স হয়, ডাক্তারিতেও সেই রকম ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা যায় কি না দেখা হোক।’’ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর রয়েছে মমতার হাতে। তিনিই স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাই তাঁর সেই নির্দেশ পালন করতেই ১৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশেষ কমিটি। স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, ৩ বছরের মেডিক্যালের কোর্স শুরু করা যায় কি না, তা দেখতেই এই কমিটি গড়া হয়েছে। এঁরা সবদিক খতিয়ে দেখে ৩০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবেন।
কমিটিতে যে ১৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন, তাঁদের নাম—
১, চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়
২, চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী
৩, চিকিৎসক জি কে ঢালি
৪, চিকিৎসক মাখনলাল সাহা
৫, চিকিৎসক মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়
৬, চিকিৎসক ইন্দ্রনীল বিশ্বাস
৭, চিকিৎসক সুহৃতা পাল
৮, চিকিৎসক মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য
৯, চিকিৎসক রেজাউল করিম
১০, চিকিৎসক অভীক ঘোষ
১১, চিকিৎসক সিদ্ধার্থ নিয়োগী, স্বাস্থ্য অধিকর্তা
১২, চিকিৎসক দেবাশিস ভট্টাচার্য, চিকিৎসা শিক্ষা অধিকর্তা
১৩, চিকিৎসক অনিরুদ্ধ নিয়োগী চিকিৎসা শিক্ষা সচিব
১৪, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং ওয়েস্টবেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রতিনিধি
এঁরাই খতিয়ে দেখবেন চিকিৎসা সংক্রান্ত পড়াশোনা এবং প্রয়োজনীয় প্র্যাকটিকাল প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩ বছরে হেল্থ কেয়ার প্রফেশনাল তৈরি করা যায় কি না। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রস্তাব বাস্তবায়িত করা যাবে কি না।
রাজ্যে ‘লোকসংখ্যা বাড়ছে, হাসপাতাল বাড়ছে’ জানিয়ে বৃহস্পতিবার মমতা জানিয়েছিলেন, চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে ডাক্তারিতে একটি ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা যায় কি না, তা তিনি দেখবেন। একই সঙ্গে মমতা জানিয়েছিলেন, এঁদের দিয়ে তিনি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাজ করানোর কথা ভাবছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গড়া হল ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি। আগামী ৩০ দিন সময় রয়েছে তাঁদের হাতে। তার পরই রিপোর্ট জমা দেবে এই কমিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy