সীমান্ত পাহারায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ বিএসএফের। —নিজস্ব চিত্র।
চোরাপাচারকারীরা সীমান্তে কাঁটাতার পেরোলেই জেনে যাবেন জওয়ানেরা। এমনই ব্যবস্থা করল বিএসএফ। বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত ২১ বছর বয়সি জার্মান ম্যালিনোইস প্রজাতির ‘ম্যাক্স’ (জার্মান শেফার্ড) এ বার থেকে পাহারা দেবে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। বিএসএফ সূত্রে খবর, তার দেখভালের জন্য আনা হয়েছে এক বিশেষ প্রশিক্ষককেও। এ ছাড়াও জ়িরো লাইনসে যাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে ফিঙ্গার প্রিন্টিং ও বায়োমেট্রিক্স ব্যবস্থা। আধার কার্ডের সঙ্গে হাতের বুড়ো আঙুলের ছাপ মিললে তবেই যাওয়ার অনুমতি মিলবে সীমান্তের ও পারে যাওয়ার। এ ছাড়াও নাইটভিশন ক্যামেরার সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে ইনফারেড ক্যামেরা। থাকছে ‘স্পার্কলিং এলার্ম’ও।
বিএসএফ সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার ১০২ নম্বর ব্যাটেলিয়ান ও নদিয়ার ৮৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ানে সীমান্ত সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করা হবে বিশেষ প্রযুক্তির থার্মাল স্ক্যানিং মেশিন। শরীরের তাপমানের পার্থক্য চিহ্নিত করে অনুপ্রবেশকারীদের অবস্থান চিনিয়ে দেবে বিশেষ প্রযুক্তির অত্যাধুনিক ওই ক্যামেরা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় ৬০ কিলোমিটার এলাকায় এই ব্যবস্থা বলবৎ করছে বিএসএফ।
বাহিনী সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ‘হ্যান্ডহোল্ড থার্মাল ইমেজিং সিস্টেম’ সীমান্তে অবাঞ্ছিত গতিবিধিও চিহ্নিত করবে। ঘন কুয়াশার সময় এবং রাতের টহলের জন্য ওই ক্যামেরা বিশেষ ভাবে উপযোগী।
বিএসএফের ডিআইজি দক্ষিণবঙ্গ এনকে পাণ্ডে বলেন, ‘‘সীমান্তের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। কাঁটাতারবিহীন এলাকাগুলোতে নজরদারি জোরদার করতে প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy