ফাইল চিত্র।
গড়িয়া শ্মশানে নিয়ে আসা বিকৃত মৃতদেহ আঁকশিতে টেনে গাড়িতে তোলার যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল, তার সঙ্গে করোনায় মৃত্যুর সম্পর্ক নেই বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
গত সপ্তাহে ওই ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য। তার পরে শুক্রবার কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সামনে প্রসঙ্গটি তোলায় সর্বোচ্চ আদালত আখ্যা দেয়, করোনা রোগীদের চিকিৎসা এবং মৃতদেহের অমর্যাদার মাপকাঠিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচটি রাজ্যের পরিস্থিতি ‘ভয়ানক’।
আজ সুপ্রিম কোর্টে ফের সেই প্রসঙ্গ ওঠায় মেহতা ফের ওই ভিডিয়োকে ‘ডিস্টার্বিং’ বলে আখ্যা দেন। কিন্তু রাজ্যের আইনজীবী সুহান মুখোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, ওই ঘটনার সঙ্গে করোনার কোনও সম্পর্ক নেই। কলকাতা পুরসভা এবং এন আর এস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিলেন, দাবিদারহীন ওই দেহগুলি করোনায় মৃতদের নয়। দেহগুলি এন আর এসের মর্গ থেকে সৎকারের জন্য গড়িয়া শ্মশানে পাঠানো হয়েছিল। আজ বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে মৃতদেহের অমর্যাদার অভিযোগ নিয়ে এখনই কোনও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয়ে জুলাইয়ে শুনানি হবে।
বিভিন্ন রাজ্যে করোনা রোগীদের হেনস্থা ও মৃতদেহের অমর্যাদা দেখে গত সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার পরে আদালত নির্দেশ দেয়, সরকারি হাসপাতালের হাল, রোগীদের দেখাশোনা, কর্মী, পরিকাঠামো নিয়ে বিশদে তাদের জানাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, রাজ্যে শুধু করোনা চিকিৎসার জন্য ৭৭টি হাসপাতাল নির্দিষ্ট রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি সরকারি। ৯৪৮টি আইসিইউ শয্যা-সহ ১০ হাজারের বেশি শয্যা, ৩৯৫টি ভেন্টিলেটর রয়েছে এই হাসপাতালগুলিতে। প্রায় ২০.২৫ শতাংশ শয্যায় রোগী আছেন। রাজ্যের ৫৮২টি কোয়রান্টিন কেন্দ্র রয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার জন্য আট হাজারেরও বেশি জায়গা ঠিক করা হয়েছে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy