বিতর্কের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ওই সূত্র হাতে আসার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগকে ধন্যবাদ দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রশ্নপত্রের ছবি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে প্রকাশ্যে আসা নিয়ে যে অভিযোগ ছিল, সে সম্পর্কে বিবৃতি দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শনিবার, ভুগোল পরীক্ষার দিন পর্ষদ জানাল, শুক্রবার ১৬ পৃষ্ঠার ইংরেজি প্রশ্নপত্রের যে ৩ পাতার ছবি সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করছিল, তার সম্ভাব্য সূত্র জানা গিয়েছে। মালদহ জেলা প্রশাসনকে এ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ হবে। তা ‘পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত’ কি না সেটাও জানা যাবে। পাশাপাশি, বিতর্কের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ওই সূত্র হাতে আসার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগকে ধন্যবাদ দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়।
মাধ্যমিক পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে বিতর্ক শুরু হয় ইংরেজি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না, এই প্রশ্নে। এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে টুইট করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তার পরই শুরু হয় চাপান-উতোর।
সুকান্ত কয়েক’টি ছবি টুইটারে ভাগ করে লেখেন, ‘‘সকাল থেকেই এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরেজি প্রশ্নপত্র বলে এই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু সময়ের সময়ের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।’’
এর পর তড়িঘড়ি বিবৃতি দেয় পর্ষদ। পর্ষদ সভাপতি রামানুজ জানান, ইংরেজি প্রশ্নপত্রের ২, ৩ এবং ১০ নম্বর পাতার ছবি তোলা হয়েছে। বেলা দেড়টা থেকে পৌনে ২টোর মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে। কোনও এক পরীক্ষার্থী মোবাইলে ছবিটি তুলেছে। তিনি একে ‘পরিকল্পিত অন্তর্ঘাত’ বলেও অভিযোগ করেন। এর পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘পর্ষদ সভাপতি বলছেন, এটা (প্রশ্নপত্র ফাঁস) অন্তর্ঘাত। আর এটা ঘটেছে মালদহে। যে জেলার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান সুকান্ত মজুমদার। এবং মালদহের সংলগ্ন জেলার উনি সাংসদ।’’ তার পরেই ব্রাত্যের বক্তব্য, ‘‘এগুলির মধ্যে কোনও অন্তঃযোগ নেই তো?’’ তিনি জানিয়েছিলেন, শীঘ্রই এর তথ্য জানা যাবে। তার পর শনিবার সকালে বিবৃতি দিল পর্ষদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy