চুপ রইলেন দুই নেতাই। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের সর্বত্র ৩ মাসে ১ হাজার সভা করবে বিজেপি। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এই পর্বে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তিতে রাজ্য জুড়ে কেন্দ্রের সাফল্যগাথা প্রচারই লক্ষ্য। রবিবার সেই কর্মসূচি শুরুর দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারিতে সভা করলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই সময়ে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে সভা করলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই সভায় কেন্দ্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রের সাফল্যের কথা বললেও ২ নেতা ভারতীয় রেলের ক্ষেত্রে গত ৯ বছরে কী কী উন্নতি হয়েছে তা নিয়ে বিশেষ মুখ খুললেন না। যদিও এই সভার জন্য কী কী বলতে হবে জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে নির্দেশাবলী রাজ্যকে পাঠিয়েছে তাতে অগ্রাধিকার ছিল রেলের। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় রাজ্যের বহু মানুষের মৃত্যু নিয়ে চলা বিতর্কের মধ্যে আর রেলের গুণগান না করার সিদ্ধান্তই নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। ঠিক হয়েছে, আপাতত অন্য বিষয় বলা হবে। পরে দুর্ঘটনার নিয়ে বিতর্ক কমলে রেলের কথা তুলে ধরা হবে।
বিনামূল্যে করোনার টিকা থেকে করোনাকালে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার কথা যেমন মোদীর সাফল্য হিসাবে তুলে ধরতে হবে তেমনই আবাস যোজনা থেকে সড়ক নির্মাণের কথা বলা হবে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যে সাফল্যের কথা তুলে ধরা হবে বলে ঠিক ছিল তা রেল। বলা হয়েছিল, বাংলা যে ২টি বন্দেভারত এক্সপ্রেস পেয়েছে তার কথাও যেমন বলা হবে তেমনই কোথায় কোথায় নতুন রেল লাইনের জন্য বরাদ্দ হয়েছে অর্থ, সে কথাও বলা হবে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, রবিবার দলের ২ মুখ ২ জায়গায় সভা করলেও রেলের সাফল্যের কথা বলেননি।
বিজেপি নেতৃত্ব ৯ বছরের সাফল্যের যে খতিয়ান তৈরি করেছিল তাতে এটাও উল্লেখ করা ছিল যে, মোদী জমানায় রেল দুর্ঘটনা কমিয়ে ফেলেছে। কংগ্রেস জমানায় এক বছরে কত দুর্ঘটনা হয়েছে তার তথ্য দিয়ে মোদীর সময়ের সঙ্গে তুলনা করারও কথা ছিল রাজ্য নেতাদের। একই সঙ্গে রেলের সুরক্ষায় ‘কবচ’ প্রযুক্তি, দেশীয় পদ্ধতিতে আধুনিক রেল কামরা তৈরির সাফল্য কিংবা উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে রেলের নজরের কথা তুলে ধরার কথা ছিল। কিন্তু সেই সব বললেন না সুকান্ত বা দিলীপ।
তবে কি আপাতত রেল নিয়ে নীরব থাকাই সিদ্ধান্ত? বিজেপি কি বিতর্ক এড়াতেই এই পথ নিয়েছে? এ নিয়ে প্রশ্ন করতে সুকান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। তবে দিলীপ বলেন, ‘‘বিতর্কের কী রয়েছে। একটা দুর্ঘটনা হয়েছে। সেটা কখনও কাম্য নয়। কিন্তু তার মানে তো এটা নয় যে, ৯ বছরের সাফল্য মিথ্যা হয়ে যাবে। মানুষ জানেন, রেল পরিষেবার অভিজ্ঞতাই বদলে গিয়েছে বিজেপি জমানায়। আর এই দুর্ঘটনার পরে প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকাও মানুষ দেখেছে। এমন অভিজ্ঞাতাও কি কারও হয়েছে অতীতে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy