নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে বিশেষ উপহার দিতে চায় বাংলার বিজেপি। দলীয় সূত্রে খবর, তারই অঙ্গ হিসেবে কোচবিহারে শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান। ৭০ তম জন্মদিনে প্রতি বুথ থেকে ৭০ জন করে নতুন সদস্য নথিভুক্ত করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। দুর্বল সংগঠনের কয়েকটি বুথ এদিক-ওদিক থাকলেও যদি অধিকাংশ বুথে টার্গেট পূরণ করতে সফল হয় বিজেপি, তাহলে সদস্য সংখ্যা একদিনে এক লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে। সেটাই হবে বিশেষ উপহার। বিজেপি’র কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “সদস্য সংখ্যা অভিযান ইতিমধ্যেই শুরু করেছি আমরা। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বিশেষ অভিযান চলবে।” বিজেপি’র কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ৭০ তম জন্মদিনে সব কিছুই ওই সংখ্যার করা হবে। সে ভাবেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। দলীয় সূত্রের খবর, ওই দিনটিতেই দলের কাজে গতি আনতে চাইছে বিজেপি। দল মনে করছে, কোভিড পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীরা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কর্মসূচিও তেমন ভাবে নেওয়া হচ্ছে না। তাতে দলের সংগঠন অনেকটাই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আর বেশি সময় নেই। তাই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেই সংগঠনের কাজে জোয়ার আনতে চাইছে দল। সেদিকে লক্ষ্য রেখে ইতিমধ্যেই আজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মহকুমাশাসকের দফতরে দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। পাশাপাশি, রবিবার একসঙ্গে কোচবিহার জেলার ২৪টি মণ্ডলে বৈঠক করেছে কেন্দ্রের শাসকদল। ওই কর্মিসভায় বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী ছাড়াও জেলার পর্যবেক্ষক অমিতাভ মৈত্র উপস্থিত ছিলেন। এই সভা থেকে সকলকে টার্গেট বেধে দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এ বার লোকসভা নির্বাচনের পরে কোচবিহারে বিজেপি সংগঠনে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সেখানে দুর্বল হয়ে পড়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে তৃণমূল নিজেদের সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা করছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ময়দানে নেমেছে বিজেপি। বিজেপি’র কোচবিহার জেলা নেতা বলেন, “ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক সদস্য সংগ্রহ হয়েছে আমাদের। এ বার তিন লক্ষ টার্গেট দেওয়া হয়েছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ হচ্ছে।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় কটাক্ষ করে বলেন, “আসলে বিজেপি সদস্য সংখ্যা বাড়াতে পাচ্ছে না। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনকে বেছে নেওয়া হচ্ছে। তাতেও কিছু হবে না, কারণ বিজেপি ও ওই দলের নেতৃত্বকে এখন কেউ চাইছেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy