ভারী বৃষ্টি কলকাতায়। —ফাইল চিত্র
পুজোর আগে শেষ রবিবার। কেনাকাটার শেষ লগ্নের সকালেও বর্ষণে ভাসল মহানগরী। সকালের ঘণ্টা দেড়েকের বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যায়। অন্তত আগামিকাল, সোমবার পর্যন্ত দুর্যোগ কাটার সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অর্থাৎ কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে সোমবার পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মাথায় হাত পুজো উদ্যোক্তাদের।
কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের উপরেই সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী বায়ু। তার প্রভাব দফায় দফায় কখনও ভারী, কখনও বা মাঝারি বৃষ্টিপাত চলছিলই। রবিবার সকালে সেই বর্ষণ নামে মুষলধারে। প্রায় দেড় ঘণ্টা একটানা বৃষ্টির জেরে শহরের নীচু এলাকাগুলিতে জল জমে যায়। ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, শীলপাড়া, হরিদেবপুর, তারাতলা, হাইড রোড, খিদিরপুরের বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে যায়। দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়ার কিছু এলাকা, ই এম বাইপাস সংলগ্ন এলাকাগুলি, মধ্য কলকাতার পার্ক সার্কাস, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট, ধর্মতলার কিছু কিছু রাস্তাতেও জল দাঁড়িয়ে পড়ে।
তবে ছুটির দিন হওয়ায় যান চলাচলে খুব একটা প্রভাব হয়নি। পুজোর আগে এটাই শেষ রবিবার। বিকেলের দিকে নিউমার্কেট, গড়িয়াহাট ছাড়াও বিভিন্ন শপিং মলে ভিড় বাড়তে পারে। ফের বৃষ্টি হলে যানজটের আশঙ্কা করছেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা। তবে সেই অনুযায়ী আগাম প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা হচ্ছে বলে পুলিশের একটি সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ‘ইমরানের বক্তৃতায় ছাপ খুনে নীতির’, পাকিস্তানকে কড়া উত্তর ভারতের
কিন্তু বর্ষণের জেরে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। বৃষ্টির জন্য কোথাও প্যান্ডেলের কাজ বন্ধ রাখতে হচ্ছে, কেউ আবার এর মধ্যেও প্যান্ডেলের ভিতরের কাজকর্ম সেরে রাখছেন। বৃষ্টি থামলেই বাইরের কাজে হাত দেবেন। একই সঙ্গে বৃষ্টি হলে দর্শনার্থীদের যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্যও ভাবনা-চিন্তা এবং সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিয়েছে অধিকাংশ পুজো প্যান্ডেলগুলি।
তবে পুজোর চার দিন বৃষ্টি হবে কিনা, সে বিষয়ে অবশ্য এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না আলিপুর আবহাওয়া দফতর কর্তারা। তবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন তাঁরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হবে মালদহ ও দুই দিনাজপুর জেলায়। এছাড়াও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এলাকায়। মাঝারি বর্ষণের পূর্বাভাস দুই বর্ধমান, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায়। কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে কখনও হালকা কখনও বা ভারী বর্ষণের আশঙ্কা।
আরও পডু়ন: রাজীবের ছুটির আবেদন ঝুলিয়ে রাখলেন ডিজি
এর মধ্যেই আরও একটি খবরে দুর্যোগ বাড়ার আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে আলিপুর। উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ একটি তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি দানা বাঁধলে বৃষ্টি নতুন করে বাড়তে পারে। তবে নিম্নচাপ দানা বাঁধলে এবং কতটা শক্তিশালী হচ্ছে, তার উপর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ নির্ভর করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy