প্রতীকী ছবি।
থার্মোমিটারে পারদের পতন অব্যাহত। শনিবার খাস কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের পুরুলিয়ায় রাতের তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রিতে। উত্তরবঙ্গের তরাইয়ের জেলাগুলিতেও রাতের তাপমাত্রা ১৫-১৬ ডিগ্রিতে ঘুরছে। গভীর রাতে বা ভোরে পথেঘাটে শিশির পড়ছে। ভোরে মিলছে জোরালো হিমেল হাওয়া।
আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর, রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই রাতের পারদ ক্রমশ নামছে। কলকাতার অদূরে ব্যারাকপুরে রাতের তাপমাত্রা প্রায় ১৮ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। বর্ধমান শহর, আসানসোল কিংবা পানাগড়ে রাতের তাপমাত্রা আরও কিছুটা নেমেছে। সব দক্ষিণবঙ্গে পারদ পতনে আপাততত এগিয়ে রয়েছে পুরুলিয়া এবং বীরভূম। উত্তরবঙ্গে কোচবিহারে এবং জলপাইগুড়িতে রাতের তাপমাত্রা যথাক্রমে ১৫.৪ ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে।
আমজনতার প্রশ্ন, তা হলে কি ক্রমশ শীত জাঁকিয়ে বসছে?
রাজ্যের সর্বত্র পারদের পতন অব্যাহত থাকলেও শীত এখনই জাঁকিয়ে বসছে না বলেই আবহবিদেরা জানান। তাঁরা জানান, কলকাতার রাতের তাপমাত্রার নিরিখে গোটা রাজ্যে শীত থিতু হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। বর্ষার মতো শীতের আগমন বা বিদায়ের কোনও নির্ঘণ্ট নেই। সাধারণত, রাতের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির আশপাশে থিতু হলে এবং দিনের তাপমাত্রার সঙ্গে অন্তত ১৩-১৪ ডিগ্রির ফারাক বলে শীত জাঁকিয়ে বসেছে বলে ঘোষণা করা হয়। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে সেই পরিস্থিতি সাধারণত দেখা যায় না।
এ বার অবশ্য উত্তর ভারতের শীতের পূর্বাভাস নিয়ে নানা মহলে চর্চা চলছে। ইতিমধ্যেই হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডের একাংশে প্রবল তুষারপাত হয়েছে এবং শীত জাঁকিয়ে বসেছে বলে জানানো হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের জলের তাপমাত্রা কম থাকায় (লা নিনা পরিস্থিতি) উত্তর ভারতে শীতের দাপট বেশি হবে বলেও আবহবিদদের একাংশের পূর্বাভাস। কিছু আবহাওয়া সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের ঘোষণা, আগামী জানুয়ারি মাস নাগাদ শীতের দাপট চরমে উঠতে পারে।
নভেম্বরের গোড়াতেই হিমেল হাওয়া দেখে আমজনতার প্রশ্ন, উত্তর ভারতে শীত দাপালে তার প্রভাব কি বঙ্গে পড়বে না?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy