প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসক-নিগ্রহে চিকিৎসা পরিষেবা স্তব্ধ করে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আর সন্দেশখালির বিডিও-নিগ্রহের ঘটনার জেরে ক্ষোভ বাড়ছে ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের। সেই ক্ষোভ-অভিযোগ-মনোভাবের কথা লিখিত ভাবে দাখিল করার জন্য অফিসারদের উদ্দেশে বার্তা দিল ডব্লিউবিসিএস সংগঠন।
‘সার্ভিস’ সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ডব্লিউবিসিএস সংগঠন। সম্প্রতি তেমনই একটি বৈঠকে অন্যান্য বিষয়কে ছাপিয়ে উঠে এসেছে সন্দেশখালি-২ ব্লকের ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও) কৌশিক ভট্টাচার্যের নিগ্রহের ঘটনা। গোটা রাজ্যে সংগঠনের সদস্য তথা প্রায় ১৬০০ ডব্লিউবিসিএস অফিসারের উদ্দেশে সংগঠন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ঘটনা নিয়ে তাঁরা যেন তাঁদের অভিযোগ, ক্ষোভ, বক্তব্য— সব কিছুই লিখিত ভাবে জমা দেন।
কেন?
সংগঠন সূত্রের খবর, ওই ঘটনা নিয়ে ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের মধ্যে ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে। তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশও করছেন। সেই জন্য সব জেলার সংগঠনকে এই পথ অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। লিখিত ভাবে সেই সব অভিযোগ একত্র করে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে দেওয়া হবে। কাল, শনিবারের মধ্যে সব জেলায় বৈঠক করে বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলতে বলেছেন সংগঠনের নেতারা। গত ৬ জুন দুপুরে দুষ্কৃতীরা সন্দেশখালি-২ বিডিও দফতরে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। কর্মীদের অন্য একটি ঘরে আটকে দিয়ে মারধর করা হয় কৌশিকবাবুকে। দুষ্কৃতীদের মারধর থেকে রেহাই পাননি বিডিও-র দেহরক্ষীও। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বিডিও-কে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
আক্রান্ত বিডিও-র সতীর্থদের একাংশ জানাচ্ছেন, কৌশিকবাবু এখনও কাজে যোগ দিতে পারেননি। তাঁর বাঁ কানের পর্দা ফেটে গিয়েছে। ওই ঘটনার পরে তিন জন গ্রেফতার হলেও এফআইআরে নাম থাকা মূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অফিসারদের অভিযোগ। সেই জন্য তাঁদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। ক্ষুব্ধ অফিসারদের একাংশের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ নানা সময়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখান। অপমানিতও হতে হয় কোনও কোনও সময়ে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরাই যদি অফিসারদের নিগ্রহ করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে শুরু করেন, তা হলে তা বিপজ্জনক।
জেলা স্তরে বিসিএস সংগঠনের এক সদস্যের কথায়, ‘‘বিডিও-র উপরে হামলার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। তৃণমূল স্তরে আমরাই সরকারের যাবতীয় কাজ করে থাকি। তার পরেও এই ধরনের নিগ্রহের ঘটনা গোটা সার্ভিসের পক্ষে খুবই অপমানজনক। অফিসারদের মনোবল অটুট রাখতে এর একটা বিহিত হওয়া খুব জরুরি।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy