রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে কোনও রকম হিংসা বরদাস্ত করা হবে না বলে আগেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মনোনয়ন পর্বে রাজনৈতিক অশান্তির সাক্ষী ভাঙড় আর ক্যানিংয়ের পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই পরিদর্শন করে এসেছেন তিনি। এ বার রাজভবনে ‘শান্তিকক্ষ’ (পিস রুম) খোলার ঘোষণা করলেন তিনি। শনিবার রাতে এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে রাজভবনের তরফে। সেখানে বলা হয়েছে, ভোট সংক্রান্ত অশান্তি ঠেকাতে রাজভবনে অভিযোগ জানানো যাবে। সেই অভিযোগ পেয়ে রাজ্যপালের তরফে জানানো হবে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। তারা সেই মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ও ক্যানিংয়ে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ বেলায় তৃণমূল এবং আইএসএফের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়-২ ব্লক। সেখানে কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজারে বোমাবাজি ও গুলি চলার অভিযোগ উঠেছিল। প্রাণও গিয়েছিল তিন জনের। শুক্রবার সেই এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্যপাল বোস। পরে সেখানে বলেছিলেন, ‘‘আমি বাংলার মানুষকে আশ্বস্ত করছি, এই ভোটে হিংসাই বলি হবে। হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। যারা হিংসা ঘটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান এবং আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ শনিবার ক্যানিংয়ে যান রাজ্যপাল। গত বুধবার, মনোনয়নের চতুর্থ দিনে ক্যানিংয়ে শাসক তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। ক্যানিংয়ের সেই হিংসা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার পর তাঁর মন্তব্য, “গণতন্ত্রে ভয়ের কোনও জায়গা নেই।” তিনি হিংসা বরদাস্ত করবেন না বলেও জানিয়ে দেন বোস। এর পরেই ‘শান্তিকক্ষ’ খোলার কথা জানানো হল রাজভবন থেকে। চালু করা হল হেল্পলাইন নম্বরও।
রাজভবন সূত্রে খবর, শনিবার রাজ্যপালের চেন্নাই যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলার দিকে রাজভবনে এসে হাজির হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে দু’জনের দীর্ঘ ক্ষণ বৈঠক চলে। পরে বাইরে বেরিয়ে সুকান্ত জানান, রাজ্যপালের কাছে শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট-সন্ত্রাসের অভিযোগ করে এসেছেন তিনি। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে না পারার কথাও বলেছেন। তার পরেই চেন্নাই সফর বাতিল করে ক্যানিং পরিদর্শনে বেরোন রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের ভাঙড় ও ক্যানিং সফর অবশ্য ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল। শাসকদলের তরফে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়েছে। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেবল বিজেপি ও আইএসএফের লোকজন আক্রান্ত হলে বা মারা গেলেই রাজ্যপাল দেখতে যান!’’ শুক্রবার ডায়মন্ড হারবারে একই সুর শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। কল্যাণ যা বলেছেন, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সেই সাংবাদিক বৈঠকেই একটি ভিডিয়ো ফুটেজ দেখিয়ে বিজেপি ও আইএসএফের মধ্যে ‘আঁতাঁতের’ অভিযোগ তোলে শাসকদল। বিজেপি ও আইএসএফ দুই দলই অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মনোনয়ন পর্বে শুরু থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তুলছিলেন বিরোধীরা। বিজেপি সূত্রে খবর, শুক্রবার রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে সাক্ষাতে সেই বিষয়টি উত্থাপন করেন সুকান্ত। বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজভবন ছাড়ার পরেই জানা যায়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করেছেন রাজ্যপাল। যদিও কমিশনার রাজীব সিংহ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবন যেতে পারেননি। তার পরেই ক্যানিংয়ের উদ্দেশে বেরোন বোস।
ভোট পর্বে রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগ নিয়ে রাজভবনের তৎপরতার মধ্যেই শনিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, বিভিন্ন বিষয়ে মতৈক্য এবং মতানৈক্য থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে তাঁর ‘দারুণ কাজের সম্পর্ক’ রয়েছে। নবান্ন-রাজভবনের সাম্প্রতিক ‘টানাপড়েনের’ আবহে রাজ্যপালের এই মন্তব্য অনেকের নজর কেড়েছে। ঘটনাচক্রে, শুক্রবার বোসের ভাঙড় পরিদর্শন সম্পর্কে ডায়মন্ড হারবারে মমতা বলেছিলেন, ‘‘রাজ্যপালকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। তিনি আসায় ভাঙড়ের মানুষ সাহস পাবেন। তবে তিনি যদি আমাদের নিহত কর্মীর বাড়িতে আসতেন, তা হলে আরও বেশি খুশি হতাম।’’
রাজভবনে শান্তিকক্ষ
প্রাক্-পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি রুখতে রাজভবনে ‘শান্তিকক্ষ’ খুলেছেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে কোনও রকম হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হলে, তা সরাসরি হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে জানানো যাবে। যে সব অভিযোগ জমা পড়বে, দ্রুত পদক্ষেপের জন্য তা পৌঁছে দেওয়া হবে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ০৩৩-২২০০১৬৪১ নম্বরে ফোন এবং OSD2w.b.governor@gmail.com এই আইডিতে মেল করে যাবতীয় অভিযোগ জানানো যাবে।
রাজভবনে সুকান্ত
শনিবার বেলার দিকে রাজভবনে রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, বৈঠকে তিনি রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস করেছে শাসকদল তৃণমূল। এমনকি, বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি, সুকান্ত জানান, তিনি রাজ্যপালকে জানিয়ে এসেছেন, বলপূর্বক বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি বহু মনোনয়ন কেন্দ্রে। এমনকি, বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য ‘চাপ’ তৈরি করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। বৈঠক শেষে রাজভবনের বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত দাবি করেন, রাজ্যপালও এ ব্যাপারে বিরোধীদের সঙ্গে অনেকাংশে ‘সহমত’। রাজভবন সূত্রে অবশ্য এই বক্তব্যের সমর্থনে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সুকান্ত বলেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে যে সন্ত্রাস চলছে, তা নিয়ে আমি রাজ্যপালকে জানিয়েছি। তিনি নিজেও পঞ্চায়েত ভোট পর্বে দুর্বৃত্তদের ব্যবহার করার প্রমাণ পেয়েছেন। সেই দুর্বৃত্তদের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের যে যোগাযোগ রয়েছে, তার প্রমাণও পেয়েছেন তিনি।’’ ওই বিজেপি নেতার সংযোজন, ‘‘রাজ্যপাল নিজেই সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি স্থানীয় লোকেদের সঙ্গে কথা বলেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁকে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দুর্বৃত্তদের সরাসরি যোগাযোগের কথা বলেছেন। আমাকে সেই সব নাম জানালেও, আমি এখানে তা বলতে পারব না। রাজ্যপাল সময় হলে সেই নাম নিজেই প্রকাশ্যে আনবেন।’’
রাজীবকে তলব
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য পুলিশ এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। শুক্রবার সেই হিংসা বিধ্বস্ত ভাঙড় পরিদর্শনেও গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এর পর শনিবার সুকান্তের সঙ্গে বৈঠকের পরেই জানা যায়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে তলব করা হয়েছে রাজভবনে। কমিশন সূত্রে খবর মেলে, পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করতে রাজভবনে তলব করা হয় কমিশনারকে। যদিও রাজীবের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তিনি শনিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারছেন না। তবে অন্য যে কোনও দিন তলব করা হলে তিনি যেতে পারবেন। রাজ্যে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগের মাঝেই কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব জানিয়েছিলেন, চ্যালেঞ্জ নয়, উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনেই চলবেন তিনি। বলেছিলেন, ‘‘হাই কোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছে, তা কার্যকর করব।’’ আবার শুক্রবার রাজীব জানান, সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। যদিও বিরোধী নেতৃত্বের একাংশ গোড়া থেকেই মনে করছিলেন, হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য সরকার এবং কমিশন। শেষ পর্যন্ত হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শনিবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শনিবার শীর্ষ আদালত বন্ধ থাকায় ‘ই-ফাইলিং’এর মাধ্যমে আবেদন জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজীবের রাজ্যপালের তলব ‘এড়িয়ে যাওয়া’কে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে।
ক্যানিংয়ে রাজ্যপাল
রাজভবন সূত্রে শনিবার বিকেল ৩টে নাগাদ জানা গিয়েছিল যে, যাবতীয় কর্মসূচি বাতিল করে ক্যানিং যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই মতো বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ক্যানিং পৌঁছন তিনি। ক্যানিংয়ে পৌঁছেই সেচ দফতরের একটি ভবনে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। ওই বৈঠকে পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকেরা ছিলেন। ক্যানিংয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন এসডিপিও দিবাকর দাস-সহ বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী। রাজ্যপাল দিবাকরের সঙ্গেও কথা বলেন। পরে তিনি ক্যানিং-১ বিডিও অফিসেও যান। সেখানে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উল্লেখ্য, মনোনয়নের সময় ক্যানিংয়ের হাসপাতাল মোড়ে বোমাবাজির কারণে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। চলেছিল গুলিও। দুই তৃণমূলকর্মী গুলিতে জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। পরে লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। ওই ঘটনার আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতালে। প্রায় আধ ঘণ্টা লড়াইয়ের জেরে এলাকায় দোকানপাটও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবারও ক্যানিং-২ বিডিও অফিসে বিজেপি প্রার্থীদের উপরে তৃণমূল চড়াও হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। শনিবার ক্যানিংয়ে গিয়ে প্রথমেই হাসপাতাল মোড়ে যান বোস। সেখান থেকে ফেরার সময় আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রাজনীতিতে বাহুবলের অপব্যবহার হচ্ছে।”
রাজ্যপাল সম্পর্কে তৃণমূল
রাজ্যপালের হঠাৎ-‘সফর’কে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রাজ্যপালকে ‘বিজেপির এজেন্ট’ বলে কটাক্ষ করেছেন। বাম, কংগ্রেস, বিজেপির মিথ্যা অভিযোগে রাজ্যপাল ‘ধুনো দিচ্ছেন’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে রাজ্যপালকে আক্রমণ করে বলেন, “রাজ্যপাল কি রাজনৈতিক এজেন্ট? শুভেন্দু অধিকারীর ভয়ে যাচ্ছেন। ট্রেন দুর্ঘটনায় যাঁরা মারা গিয়েছেন, উনি তাঁদের দেখতে যাননি কেন? তৃণমূলের কেউ মারা গেলে তো যান না।” তাঁর সংযোজন, ‘‘কেবল বিজেপি ও আইএসএফের লোকজন আক্রান্ত হলে বা মারা গেলে রাজ্যপাল দেখতে যান। রাজ্যপাল একটি সাংবিধানিক পদ। তাই কোনও পদক্ষেপ করার আগে তিনি যেন নিজের সীমাবদ্ধতার কথা মাথা রাখেন।’
পিটিআই-কে রাজ্যপাল
শনিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের সঙ্গে আমার দারুণ কাজের সম্পর্ক। সেখানে কখনও মতের মিল হয়, কখনও অমিল হয়। বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি, তবে তা অবশ্যই লক্ষণরেখা মেনে। সব সময়।’’ শুক্রবার মমতা সম্পর্কে ভাঙড়ে বোস বলেছিলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমার সাংবিধানিক সহকর্মী। আমাদের মধ্যে যা কথা হয়, তা বাইরে বলা যায় না।’’ সেই কথা সূত্র ধরেই সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আমাদের ভাল সরকারি ব্যবস্থা উপহার দিতে হবে। আমি সেটাই চেষ্টা করছি এবং তা করতে গিয়ে এখনও পর্যন্ত বাধার সম্মুখীন হইনি।’’ ওই সাক্ষাৎকারে পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির ঘটনার প্রেক্ষিতে দুষ্কৃতীদের উদ্দেশে কড়া বার্তাও দিয়েছেন রাজ্যপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy