পুলিশের দাবি, জমায়েতের অভিযোগ উঠলেই, দলমত নির্বিশেষে এলাকা ফাঁকা করা হয়েছে। ঘটনার নিন্দা করে উজ্জ্বল বসাক বলেন, ‘‘কোনও বুথে বিজেপির সমর্থকদের সে রকম দেখা যায়নি। তাই সেই দায়িত্বই নিজের হাতে তুলে নিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত।’’
ফাইল চিত্র।
সকালেই পুরভোট নিয়ে আইনশৃঙ্খলার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দুপুরে নিজের শহর বালুরঘাটে বসে রাজ্যের ভোট পরিচালনা করতে গিয়ে নতুন বিতর্কেও জড়ালেন তিনি। চলন্ত গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে ‘তৃণমূলের বাইকবাহিনী’ ধরতে গিয়ে কার্যত জেড নিরাপত্তার দেহরক্ষীদের নিয়েই স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান তিনি। তা নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয় বালুরঘাট পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মিলন সঙ্ঘ ক্লাব পাড়ায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দলীয় সমর্থক থেকে সাধারণ মানুষ, এত দিন সুকান্তকে ঠান্ডা মাথার মানুষ বলেই জানতেন। কিন্তু রবিবার বালুরঘাটে সেই ভাবমূর্তি যেন ঝেড়ে ফেলার প্রবল চেষ্টা করলেন সুকান্ত। রবিবার দুপুরে নিজের ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডে যান তিনি। সূত্রের খবর, পুলিশ তাঁকে ফোন করে জানায়, তিনি যেন কনভয়ের তিনটি গাড়ি এবং নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে বুথে বুথে না যান। যদিও বাইরের লোক বুথের চারদিকে জড়ো হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ তোলেন সুকান্ত। তিনি ২ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকতেই পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়ান। সূত্রের দাবি, কমিশনের আধিকারিকেরা তাঁকে ভোটের নথি বার করে দেখান, সাংসদ নিজের ওয়ার্ড ছাড়া নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে ঘুরতে পারবেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুকান্ত বাড়ির দিকে রওনা হয়ে মিলন সঙ্ঘ ক্লাবের কাছে আচমকা ঝাঁপিয়ে গাড়ি থেকে নেমে কলার চেপে ধরেন তিন বাইক আরোহীর। ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। অভিযোগ, এক তৃণমূল সমর্থক সুকান্তের দিকে ভাঙা টেবিলের পায়া নিয়ে এগোলে নিরাপত্তারক্ষী ধাক্কা দেন। গোলমাল চরমে ওঠে। বাইক ফেলে পালান যুবকেরা। ঘটনাস্থলে যান জেলা তৃণমূল সভাপতি উজ্জ্বল বসাক। কেন মেজাজ হারালেন? সুকান্ত বলেন, ‘‘বাইকবাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল, অথচ, পুলিশ কিছুই করছিল না। তাই আমাকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে।’’ এফআইআরও দায়ের করেছেন বলে জানান সুকান্ত।
পুলিশের দাবি, জমায়েতের অভিযোগ উঠলেই, দলমত নির্বিশেষে এলাকা ফাঁকা করা হয়েছে। ঘটনার নিন্দা করে উজ্জ্বল বসাক বলেন, ‘‘কোনও বুথে বিজেপির সমর্থকদের সে রকম দেখা যায়নি। তাই সেই দায়িত্বই নিজের হাতে তুলে নিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy