পরিযায়ী শ্রমিকদের অর্থ সাহায্য রাজ্যের। ছবি: পিটিআই।
পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ভিন্রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে অসংগঠিত ক্ষেত্রের বা ছোট ছোট উদ্যোগের যে সব শ্রমিকরা আটকে পড়েছেন লকডাউনে, তাঁদের নানা সমস্যার কথা নিরন্তর পৌঁছচ্ছিল মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে। করোনা মোকাবিলায় শুরু হওয়া লকডাউনে অধিকাংশ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ থাকায় পরিযায়ী শ্রমিকদের সিংহভাগই এখন উপার্জনহীন। কিন্তু বাড়িতেও ফিরতে পারছেন না তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে ভিন্রাজ্যে যাতে তাঁদের খাওয়া-পরার সঙ্কট না দেখা দেয়, তা নিশ্চিত করতে ‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্প ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ভিন্রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের অ্যকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠাবে রাজ্যের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দফতর।
যে সব পরিযায়ী শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, কিন্তু কোভিড-১৯ সংক্রমণের মোকাবিলায় ২৪ মার্চ থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের জেরে অন্য রাজ্যে আটকে পড়েছেন, তাঁদের এককালীন ১ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্পে সহায়তা পাওয়ার যোগ্যতা:
ক) ওই ব্যক্তিকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
খ) করোনা মোকাবিলায় শুরু হওয়া লকডাউনের জেরে যে হেতু আন্তঃরাজ্য পরিবহণ বন্ধ, সে হেতু তিনি নিজের রাজ্যে ফিরতে পারছেন না— যাঁদের ক্ষেত্রে এ রকম ঘটেছে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
গ) নিজেকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা প্রমাণ করার জন্য খাদ্যসাথী কার্ড বা এপিক বা আধারের নম্বর দিতে হবে।
ঘ) জেলাশাসক বা কলকাতার পুর কমিশনার যদি নিশ্চিত হন যে, আবেদনকারী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং লকডাউনের কারণে বাইরে আটকে রয়েছেন, তবেই সাহায্য মিলবে।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্তদের ৮০ শতাংশই উপসর্গহীন, দুশ্চিন্তায় আইসিএমআর
কী ভাবে আবেদন করতে হবে?
ক) যে হেতু রাজ্যের বাইরে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের পক্ষে সশরীরে হাজির হয়ে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানানো সম্ভব নয়, তাই রাজ্য সরকার একটি মোবাইল অ্যাপ লঞ্চ করেছে, যার নাম— ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্নেহের পরশ’। নিজের মোবাইলে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করে তার মাধ্যমে আবেদন জানাতে পারবেন ভিন্রাজ্যে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা।
খ) গুগল প্লে স্টোর থেকে বা পশ্চিমবঙ্গ সরকার— এগিয়ে বাংলার (www.wb.gov.in) হোমপেজে দেওয়া জয় বাংলা লিঙ্ক থেকে এই অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে এবং ডাউনলোডের পরে তাতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে।
গ) আবেদন করতে কী কী লাগবে?
১) নিজের ছবি
২) খাদ্যসাথী বা এপিক বা আধারের নম্বর
৩) যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে, সেই অ্যাকাউন্টের নম্বর-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য
৪) মোবাইল নম্বর
৫) পশ্চিমবঙ্গে তাঁর কোনও এক প্রতিনিধির নাম, সম্পর্ক এবং ফোন নম্বর
আরও পড়ুন: সঙ্গত কারণ না দেখিয়ে রাজ্যে কেন আসছে কেন্দ্রীয় দল? প্রশ্ন তুললেন মমতা
অর্থ সাহায্যের আবেদন অনুমোদনের প্রক্রিয়া:
ক) অ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো আবেদন জেলাশাসক বা কলকাতার পুর কমিশনার দেখতে পাবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার— এগিয়ে বাংলার (www.wb.gov.in) হোমপেজে দেওয়া জয় বাংলা লিঙ্কের মধ্যে স্নেহের পরশ লিঙ্কে।
খ) প্রত্যেক আবেদনকারীর আবেদন খতিয়ে দেখবেন জেলাশাসক বা কলকাতার পুর কমিশনার।
গ) খতিয়ে দেখে সন্তুষ্ট হলে অনলাইন অনুমোদন দেবেন।
ঘ) এই অনুমোদনের পরে রাজ্য সরকারের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেবে।
ঙ) অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকলে আবেদনকারী এসএমএস পেয়ে যাবেন।
বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দফতরের মাধ্যমেই এই ‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্পের রূপায়ণ ঘটাবে রাজ্য সরকার। ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত এই প্রকল্প কার্যকরী থাকবে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy