Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Partha Chatterje

Bengal polls: শুভেন্দু জামানত রাখতে পারবে কি না সন্দেহ! কটাক্ষ বাণ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের

“মানুষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়েই আঘাত করা হয়েছে তাঁকে। এই বিষয়ে কমিশনের উচিত দোষীদের খুঁজে বের করা।”

সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২১ ১৫:১০
Share: Save:

গত বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। দলের তরফে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ বার নন্দীগ্রামে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বললেন, শুভেন্দু জামানত বজায় রাখতে পারবেন কিনা সন্দেহ।

শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন পার্থ। সেখানে তিনি বলেন, “মানুষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়েই আঘাত করা হয়েছে তাঁকে। এই বিষয়ে কমিশনের উচিত দোষীদের খুঁজে বের করা। শুভেন্দু নিজের জামানত বজায় রাখতে পারবেন কিনা সন্দেহ। উনি তো কংগ্রেস, সিপিএম অনেক দলের মধ্যেই ভাল লোকের দেখা পান। এর পিছনে কার হাত রয়েছে তা তদন্ত করে বের করা উচিত কমিশনের।”

পার্থ আরও বলেন, “আমাদের দলনেত্রীকে আঘাত করা হয়েছে। তাই আমরা তো এর প্রতিবাদ করবই। এই বিষয়ে তদন্ত দরকার। মুখ্যমন্ত্রীর খোঁজ সবাই নিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি কেউ একবারও খোঁজ নেননি। এতে আমরা অবাক হয়েছি।”

মমতার উপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে মৌনী মিছিল করার কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। কালো পতাকা নিয়ে ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে এই মিছিল হবে বলেই জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

এ দিকে শুক্রবার নিজের মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন শুক্রবার। হলদিয়া মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দেন শুভেন্দু। তার আগে সকাল ৯টা নাগাদ শুভেন্দু পৌঁছে যান নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ার সিংহবাহিনী মন্দিরে। সেখানে পুজো দেওয়ার পর জানকীনাথ মন্দিরে পুজো দেন তিনি। যজ্ঞও করেন সেখানে। এর পরই তিনি সোজা হলদিয়ায় যান মনোনয়ন জমা দিতে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE