জয়ী ঘোষণার পরে ভোট গণনা কেন্দ্রের বাইরে গৌতম দেব। সোমবার। ছবি: বিনোদ দাস
আসানসোল পুরভোটে দু’টি ওয়ার্ডে (আসানসোলের ৮৭ নম্বর এবং জামুড়িয়ার ১২ নম্বর) ‘বহিরাগত’ রুখতে এলাকাবাসীর একাংশের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ দেখা গিয়েছিল শনিবার। সোমবার ভোটের ফল বেরোনোর পরে দেখা গেল, দু’টি ওয়ার্ডেই জিতেছে তৃণমূল।
১২ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপুর হাইস্কুলের তিনটি বুথ দখল করতে এসেছিল জনা তিরিশ ‘বহিরাগত’, অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। বাধা দিলে, গুলিও ছোড়া হয় বলে দাবি। সে সময় ‘ফেসবুক লাইভ’ করেন (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) সিপিএম প্রার্থী দয়াময় বাউড়ির মেয়ে লিপি দাস। তা দেখে লাঠি হাতে এলাকার অনেকে অনেকে জড়ো হন। ‘বহিরাগতেরা’ এলাকা ছাড়ে। শ্রীপুরের ওই তিন বুথেই জিতেছে তৃণমূল। তারা এ দিন এলাকায় বিজয়োৎসবও করে।
ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সমরজিৎ গোস্বামী ৪,৯৫৮ ভোটে হারিয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দয়াময়কে। দয়াময়ের অবশ্য দাবি, “চেষ্টা করেও ভোট লুট রোখা যায়নি। তৃণমূল প্রার্থী লুটের ভোটে জিতেছেন।” তবে সমরজিৎ বলেন, “ভোটে হেরে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে সিপিএম।” জামুড়িয়ার ওই এলাকার বাসিন্দা অনুপ বাউড়ি, মন্টু বাউড়িরা বলেন, “সাধ্য মতো বাধা দিয়েছিলাম। এখানে প্রতিরোধের চেয়েও বড় ব্যাপার হল, এলাকায় ভোটের দিন বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। এই প্রবণতা বন্ধ হওয়া দরকার।”
একই কথা বলছেন ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিকেরা। তাঁদের একাংশ ভোটের দিন মহিশীলা গ্রামের চারটি বুথে এবং ডামরা গ্রামের তিনটি বুথে ‘বহিরাগতেরা’ ঢুকেছে অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান। মহিশীলা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ দুপুর ১টার পরে, আর ভোট দিতে যাননি। তবে তার আগেই ওই বুথগুলিতে প্রায় ১,২০০-র মতো ভোট পড়েছিল। এ দিন দেখা যায়, ওই চারটি বুথের তিনটিতে এবং ডামরা গ্রামের তিনটি বুথে জিতেছে তৃণমূল। মহিশীলার একটি বুথে জিতেছে বিজেপি। এই ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তরুণ চক্রবর্তী নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অনুপ চট্টরাজকে ২০৪৬ ভোটে হারিয়েছেন। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, “এটা সন্ত্রাসের জয়।” অভিযোগ উড়িয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তরুণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy