গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
অনুরাগীদের কাছে কিশোর কুমার শুধু সেরা গায়ক বা অভিনেতা নন, তিনি ‘গানের ঈশ্বর’। স্বাভাবিক ভাবেই ওঁর পৈতৃক বাড়ি নিয়ে আবেগপ্রবণ অগণিত অনুরাগী। মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়াতে তাঁর পৈতৃক বাড়ি। সেখানেই কেটেছে কিশোরের ছেলেবেলা। বেশ কয়েক বছর ধরেই তাঁর অনুরাগীরা ওই বাড়িতে কিশোরের স্মরণে সংগ্রহশালার দাবি করে আসছেন। গানের ঈশ্বরের জন্য মন্দিরেরও দাবি করেন অনেকে। কিন্তু এখনও জীর্ণ অবস্থায় পড়ে কিশোরের বাড়ি।
খান্ডোয়ার বম্বে রোডের ‘গাঙ্গুলি হাউস’। এক নামেই এই বাড়ির রাস্তা চিনিয়ে দেবেন স্থানীয়রা। বরাবরই এই বাড়ি নিয়ে আবেগপ্রবণ ছিলেন কিশোর। হাজার কাজের মধ্যেও ছুটে গিয়েছেন শিকড়ের টানে। কিন্তু বর্তমানে এই বাড়ির দেওয়াল জুড়ে ফাটল। কোথাও কোথাও দেওয়াল ফুঁড়ে জন্মেছে গাছ। আপাতত সীতারাম নামে এক বৃদ্ধ এই বাড়ির দেখাশোনা করেন। কিশোরের ছোট বেলার বাড়িতে ঝোলানো রয়েছে কিশোরের ছবি। কয়েক’টা ছবি আর ছবির কোলাজ ছাড়া বিশেষ কোনও স্মৃতি চিহ্ন নেই বলে আক্ষেপ অনেকের।
খান্ডোয়ার সেই বাড়ির কাছেই রয়েছে ‘লালাজী জলেবী ভণ্ডার’। জিলিপি খেতে তো অনেকেই ভিড় করেন। কিন্তু দোকানের সেরা ক্রেতা ছিলেন কিশোরই। ‘দুধ জলেবি খায়েঙ্গে, খান্ডোয়া মে জায়েঙ্গে’— কিশোরের মুখে অনেকেই এই লাইন শুনেছেন। সেই কিংবদন্তীর জন্মদিনে ‘লালাজী জলেবী ভণ্ডার’-এ দুধ জিলিপির চাহিদা থাকে তুঙ্গে।
কিশোরের মৃত্যুর পর মধ্যপ্রদেশেই তাঁর শেষকৃত্য হয়। সেখানে গড়ে উঠেছে কিশোর কুমার মেমোরিয়াল। করোনাকে উপেক্ষা করেই কিশোর ভক্তরা মেমোরিয়ালে এসে শ্রদ্ধা জানান। কিশোরের গান গেয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন ভক্তরা। আশা করেন, পরের জন্মদিনের আগে হয়তো ‘গাঙ্গুলি হাউস’-এর মেরামতের কাজ হবে। কিশোরের সম্মানে গড়ে উঠবে সংগ্রহশালা বা অনুরাগীদের ‘গানের ঈশ্বর’-এর মন্দির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy