তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র
বিজেপি বলছে, রাজ্যে প্রশাসন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। তৃণমূলের, দাবি, বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। ভাটপাড়া-কাণ্ড নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতোর চরমে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গোটা ঘটনার জন্য সরাসরি রাজ্য সরকারকে দায়ী করে অভিযোগ করেন, ‘‘পরিস্থিতি প্রশাসনের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। ঘটনাটি সাম্প্রদায়িক রং পেয়েছে। পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। তৃণমূল বাইরে থেকে গুন্ডা এনে এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে অশান্তি ছড়াচ্ছে। অথচ পুলিশ কিছু করছে না। এ দিনের ঘটনা তারই চরম পরিণতি। সাধারণ মানুষের প্রাণ গেল। আমাদের গায়ে হাত পড়লে, আমরাও পাল্টা মার দিতে পারি।’’
দিলীপবাবুর সুরেই এ দিনের ঘটনার জন্য পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছেন আর এক বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পুলিশ ট্রিগার হ্যাপি হয়ে গিয়েছে। তারই ফল এ দিনের ঘটনা।’’
যদিও বিজেপির এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল। দলের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী তাপস রায় এ দিন জানিয়েছেন, রাজ্যে ক্ষমতা দখলের জন্য বিজেপি ‘বড্ড তাড়াহুড়ো’ করছে। কেন্দ্রীয় শক্তিকে ব্যবহার করে রাজ্যে অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা করছে। রাজ্যের আর এক মন্ত্রী এবং তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এ দিন দাবি করেন, ‘‘ভাটপাড়ার ঘটনার পিছনে আদি এবং নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব কাজ করছে।’’ এ প্রসঙ্গে মুকুলবাবুর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটলে পুলিশের গুলিতে এ দিন সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটল কী ভাবে?’’
দিলীপবাবু জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তিনি জানিয়েছেন। একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ভাটপাড়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসবে এবং রিপোর্ট তৈরি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে পাঠাবে। যদিও সেই দলে কারা থাকবেন এবং তাঁরা কবে আসবেন, সে বিষয়ে এ দিন রাত পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি বিজেপি। অন্য দিকে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিনের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন।
ভাটপাড়া-কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেসও। দু’এক দিনের মধ্যেই তাদের বিধায়কদের যৌথ প্রতিনিধি দল ভাটপাড়ায় যেতে পারে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘ভাটপাড়ায় যা হচ্ছে তা নিয়ে অবিলম্বে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা উচিত। পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ। আর আমাদের বিধায়কদের প্রতিনিধি দলেরও শান্তির আবেদন নিয়ে ওখানে যাওয়া উচিত।’’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের বক্তব্য, ‘‘ভাটপাড়ায় অশান্তি অনেক দিন ধরে চলছে। আইন-শৃঙ্খলা এবং সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় রাজ্য প্রশাসন যে ব্যর্থ হচ্ছে, তা বোঝা যাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy