—প্রতীকী ছবি।
মিড-ডে মিলের টাকা থেকে ভোটকর্মীদের ডিউটির সাম্মানিক প্রদান করার অভিযোগ উঠল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত কিছু ‘স্ক্রিন শট’-ও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে।
যদিও কমিশন কর্তার দাবি, কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি থেকে এটা হতে পারে। সেগুলি ভুয়োও হতে পারে। তহবিল আগে এসে গিয়েছে। সেখান থেকেই ভোটকর্মীদের টাকা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে বীরভূমের বগটুই-কাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকাও মিড-ডে মিল দফতর থেকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সেই অভিযোগও মিথ্যা বলে দাবি করেছিল শিক্ষা দফতর।
বুধবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ জানিয়েছে, প্রশিক্ষণের পরে ভোটকর্মীদের মোবাইলে টাকা পাওয়ার বার্তা আসতে শুরু করেছে। অভিযোগ, সেই বার্তাতেই লেখা আছে, এই সাম্মানিক মিড-ডে মিল থেকে দেওয়া হয়েছে। মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘কয়েক জন ভোটকর্মী স্ক্রিন শট পাঠিয়েছেন। দেখা গিয়েছে, টাকা এসেছে মিড-ডে মিল থেকে। পড়ুয়াদের মুখের ভাত কেড়ে ভোটের সাম্মানিক পেতে চাই না। প্রয়োজনে সাম্মানিক ছাড়াই ভোটের কাজ করব। কী ভাবে মিড-ডে মিলের টাকা ভোটকর্মীদের কাছে আসছে, তার তদন্তের দাবি করেছি কমিশনের কাছে।’’ কমিশন কর্তা জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরকারকে বলা হয়েছে।
মঞ্চের অন্যতম নেতা, শিক্ষক নির্ঝর কুণ্ডুর কথায়, ‘‘থার্ড পোলিং অফিসার হিসেবে আমার ১৫২০ টাকা পাওয়ার কথা। আমার ব্যাঙ্ক থেকে যে-বার্তা এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, টাকাটা মিড-ডে মিল প্রোগ্রাম থেকে দেওয়া হচ্ছে।’’ সেই বার্তায় কমিশনের নামোল্লেখ নেই। তা হলে ওই ১৫২০ টাকা যে নির্বাচন কমিশন থেকেই আসছে, তার নিশ্চয়তা কোথায়? নির্ঝরের দাবি, কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, কোন স্তরের ভোটকর্মীরা কত টাকা পাবেন। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, থার্ড পোলিং অফিসার পাবেন ১৫২০ টাকা। তা হলে এটা যে কমিশন থেকেই এসেছে, সেটা সহজেই অনুমেয়। নির্ঝরের দাবি, ‘‘বিভিন্ন স্তরে কাজ করে ভোটকর্মী শিক্ষকদের যে-টাকা পাওয়ার কথা, সেই টাকাই তাঁদের অ্যাকাউন্টে আসছে। এই টাকা কমিশন ছাড়া আর কে পাঠাবে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy