ফাইল চিত্র।
পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে ঘিরে অশান্ত পরিবেশের মধ্যেই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে ওই মেলার আয়োজনে রাজি হল বিশ্বভারতী। তবে, কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায়।
শুক্রবার বিশ্বভারতীর সমস্ত কর্মী, আধিকারিক ও অধ্যাপকদের নিয়ে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। বৈঠকের বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য তথা বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির প্রাক্তন সদস্য সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীই পৌষমেলা আয়োজন করবে। তবে মেলার অনলাইনে স্টল বণ্টন থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট দিনে মেলা শেষ করা পর্যন্ত সমস্ত বিষয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এমনই শর্ত দিয়েছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।’’
বুধবারই একটি বিশ্বভারতীর ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিশ্বভারতীর কোর্ট সদস্য স্বপন দাশগুপ্ত কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় পৌষমেলা করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। এ দিন কার্যত তাঁর সঙ্গে সহমত হল বিশ্বভারতী। কর্তৃপক্ষের যদিও দাবি, অর্থ এবং লোকবলের অভাব ও জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিয়মাবলির জন্যই বিশ্বভারতী মেলা পরিচালনায় অপারগতার কথা জানিয়েছিল। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, “১৯২১ সাল থেকে মেলা পরিচালনায় সহায়তা করছেন বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপক, পড়ুয়া সকলেই। এই বারও যদি সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে বিশ্বভারতী পৌষমেলা পরিচালনার দায়িত্ব নেয়, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। তবে এই সিদ্ধান্তের এখনও কোনও তথ্য আমাদের হাতে নেই।” বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মত, “পৌষমেলা সাধারণ মানুষের। রবীন্দ্রনাথের ভাবনায় মেলা পরিচালিত হয়েছে। বিশ্বভারতীর মেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত।” একই সঙ্গে এ দিনের প্রেস বিবৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বহিরাগত’ বলে উল্লেখ করার বিষয়টিতে কর্তৃপক্ষ দুঃখপ্রকাশ করেছেন। যদিও উপাচার্যের বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে দাবি করে বলা হয়েছে, “যদি কেউ এই মন্তব্যের জন্য দুঃখিত হন, তার জন্য আমরাও দুঃখিত ও মর্মাহত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy