রণক্ষেত্র কোচবিহারের দিনহাটা। নিজস্ব চিত্র।
শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোচবিহারের দিনহাটা এলাকার শালমারা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় বাজার, বেশ কয়েকটি মোটর বাইক। সংঘর্ষে আহত দু’পক্ষের অন্তত ১০-১২ জন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শুক্রবার সকালে দিনহাটা -২ ব্লকের শালমারা এলাকায় স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ এবং ব্লক সভাপতি মির হুমায়ুন কবীরের অনুগামীদের মধ্যে বচসাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। অল্পসময়ের মধ্যেই দু’পক্ষের কয়েকশ সমর্থক বোমা, বন্দুক, লাঠি-রড নিয়ে হাজির হয়। সংঘর্ষের মধ্যেই শালমারার বাজারের একাংশে কেউ আগুন ধরিয়ে দেয়। পুড়ে যায় বেশ কয়েকটি কাঁচা দোকানঘর। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি মোটরবাইকেও। সাহেবগঞ্জ থানা থেকে পুলিশ বাহিনী পৌঁছনোর পরও সংঘর্ষ চলতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা সদর থেকেও বাহিনী পৌঁছয় শালমারাতে।
কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের একাংশের কথায়, ‘‘গত কয়েক দিন ধরেই এই সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল।” এর আগে কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা কমিটি এবং ব্লক কমিটি গঠনের পরই প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মীর হুমায়ুন কবীর। তিনি উদয়ন গুহর নাম না করে বলেছিলেন, ‘‘যাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে কাজ করল তাঁরাই এখন দলে গুরুত্ব পাচ্ছে।” একই সুরে কথা বলেছিলেন জেলার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা এবং কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী।
আরও পড়ুন: বর্ধমানে লরি উল্টে মৃত একই পরিবারের ৩, কোলাঘাটে পথ দুর্ঘটনার বলি আরও ২
তার পরে বৃহস্পতিবার মীর হুমায়ুন কবীর বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেন। সেখানে উদয়ন আমন্ত্রিত ছিলেন না। বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে নাম না করে উদয়নের সমালোচনা করেন হুমায়ুন এবং উদয়ন বিরোধী তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের কথায়, ‘‘আগে থেকেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। বারুদে অগ্নিসংযোগ হয় বৃহস্পতিবারের ঘটনায়।” কারণ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই হুমায়ুনের সঙ্গে উদয়নের বিরোধ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য শুরু হয়ে যায় গোটা জেলায়।
ঘটনার পর এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত হুমায়ুন কবীর বা উদয়ন গুহ কারওর বক্তব্যই পাওয়া যায় নি। গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেননি জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ও। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ এখনও গ্রেফতার হননি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানান জেলা পুলিশের এক কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy