রানিবাঁধে পুলিশের কড়াকড়ি। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
এক অনুষ্ঠানবাড়ির ‘ভিডিয়ো-ক্লিপিং’ (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ঘিরে বুধবার বিতর্ক ছড়াল বাঁকুড়ার পাত্রসায়রে। বিজেপির দাবি, ‘লকডাউন’-এর মধ্যে পারিবারিক অনুষ্ঠানে বড় জমায়েত করেছেন এলাকার এক তৃণমূল নেতা। ‘ক্লিপিং’টি সেই অনুষ্ঠানবাড়ির। যদিও রাত পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করেনি তারা। পাত্রসায়র থানার পুলিশের দাবি, মৌখিক ভাবে ব্যাপারটি শুনে তারা খোঁজ নিয়ে দেখেছে, জনা পঁয়তাল্লিশ গেছিলেন সেখানে। অভিযোগ মানেননি তৃণমূল নেতাও।
‘ক্লিপিং’টিতে দেখা গিয়েছে একটি বাড়িতে প্যান্ডাল হয়েছে। রান্না চলছে। খেতে বসেছেন কয়েক জন। তবে অনেকের মুখে ‘মাস্ক’ নেই। বিজেপির দাবি, ঘটনাস্থল, পাত্রসায়রের নারায়ণপুর পঞ্চায়েতের জলজলা গ্রাম। বিজেপির নারায়ণপুর অঞ্চল সভাপতি দেবু দিগারের অভিযোগ, ‘‘পাত্রসায়রে কড়া লকডাউন চলছে। এ দিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা আশিস মিদ্যার ছেলের অন্নপ্রাশনে এ দিন প্রায় সাতশো লোক এসেছিলেন। বিধি অনুযায়ী, এখন ৫০ জনকে নিমন্ত্রণ করা যাবে। এলাকার সিভিক ভলান্টিয়ারদের জানিয়ে লাভ হয়নি।’’ বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, ‘‘পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিক। আমন্ত্রিতদের কোয়রান্টিন করে করোনা-পরীক্ষা করানো হোক।’’
তবে আশিসবাবুর দাবি, ‘‘আমাদের বড় পরিবার। সব মিলিয়ে এ দিন জনা চল্লিশ খাওয়াদাওয়া করেন। কেউ হয়তো খেতে বসে মাস্ক খুলেছেন। অন্য সময় পরে ছিলেন। সরকারি নিয়ম মেনেই কাজ হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘নারায়ণপুরে পায়ের তলায় জমি হারিয়ে বিজেপি আক্রমণে নেমেছে।’’ পাত্রসায়র ব্লক তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম সিংহ বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগও পাইনি।’’ বিডিও (পাত্রসায়র) প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগ আসেনি। তবে খোঁজ নিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy