Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই চাঁদমারি সুভাষের

এ দিনের সভায় সুভাষবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সহ-সভানেত্রী রাজকুমারী কেশরী, বিজেপি-র বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র-সহ অনেকে।

সভার ফাঁকে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার। রবিবার ইঁদপুরে। ছবি: অভিজিৎ সিংহ।

সভার ফাঁকে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার। রবিবার ইঁদপুরে। ছবি: অভিজিৎ সিংহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইঁদপুর শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৫
Share: Save:

বাঁকুড়ায় দলীয় বৈঠকে এসে তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। সেই বৈঠকের তিন দিন পরে রবিবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ তুলেই শাসক দলকে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি তথা বাঁকুড়ার চিকিৎসক সুভাষ সরকার।

এ দিন সন্ধ্যায় ইঁদপুর বাংলায় পথসভায় সুভাষবাবু কটাক্ষ করেন, ‘‘জেলায় জনসমর্থন হারাচ্ছে তৃণমূল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দলে ভাঙনও দেখা দিচ্ছে। অস্তিত্ব সঙ্কট বুঝেই তাই এ বার সরাসরি কর্মীদের ক্ষোভ মেটাতে জেলায় ছুটে আসতে হচ্ছে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।’’ সুভাষবাবু দাবি করেন, ‘‘তৃণমূলের প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে সাধারণ মানুষের। এমনকী, কর্মীরাও আর এই দলকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাই এত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ভোট যতই এগিয়ে আসছে, দলের ফাটল ততই বাড়ছে। এ সব বুঝেই অভিষেক ছুটছেন জেলায় জেলায়।”

বাঁকুড়া জেলার কোন এলাকায় নেতাদের মধ্যে গোলমালে দলের ক্ষতি হচ্ছে, বিশদে সে তথ্য নিয়েই বুধবার দু’দিনের সফরে এসেছিলেন অভিষেক। পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের নেতাদের দ্বন্দ্ব মেটাতে কড়া বার্তাও দিয়ে গিয়েছেন তিনি। সমস্যা মেটাতে বিধানসভা ভিত্তিক এলাকা ভাগও করে দিয়েছেন জেলা নেতাদের মধ্যে।

অভিষেকের সফরকেই এ দিন নিজের বক্তব্যে নিশানা করেছেন সুভাষবাবু। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে সাধারণ মানুষেরও ভোগান্তি হচ্ছে। সুভাষবাবু বলেন, “কিছু দিন আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই পাত্রসায়র ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতি ও বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মবিরতি ডেকে পরিষেবা অচল করে দিয়েছিলেন শাসক দলের জনপ্রতিনিধিরা।’’

এ দিনের সভায় সুভাষবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সহ-সভানেত্রী রাজকুমারী কেশরী, বিজেপি-র বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র-সহ অনেকে।

তবে সুভাষবাবুর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি তথা বাঁকুড়ার সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী। তিনি পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, “যিনি আমাদের জনসমর্থন কমে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করছেন, তাঁর নিজের সভায় ক’টা লোক হয়েছিল? এই রাজ্যে বিজেপির শক্তি খড়-কুটোর থেকে কোনও অংশে বেশি নয়।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy