Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
shantiniketan

‘দখল’ জমি ফেরাতে মরিয়া উপাচার্য

জমি উদ্ধারের পথ, সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছেন। এর আগে পৌষমেলা, বসন্তোৎসব, শান্তিনিকেতনের রাবীন্দ্রিক আদর্শ সহ নানা বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। 

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২০ ০৩:০৬
Share: Save:

বিশ্বভারতীর ‘জবরদখল’ হওয়া জমি ফেরত পেতে কর্তৃপক্ষ কতটা মরিয়া উপাচার্যের এ বারের সাত পাতার বার্তালাপের ছত্রে ছত্রে তা প্রকাশ পেল। শনিবার বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ছয় নম্বর বার্তালাপ আসে। নানা সময়ে যে ভাবে বিশ্বভারতীর জমি জবরদখল এবং হস্তান্তরিত হয়েছে, এ বারে তার দীর্ঘ তালিকা তুলে ধরেছেন উপাচার্য। জমি উদ্ধারের পথ, সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেছেন। এর আগে পৌষমেলা, বসন্তোৎসব, শান্তিনিকেতনের রাবীন্দ্রিক আদর্শ সহ নানা বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করেছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
উপাচার্য লিখেছেন, রবীন্দ্রনাথের সময়ে শিক্ষকরা তেমন বেতন পেতেন না বলে তাঁদের আশ্রমের কাছাকাছি বাড়ি তৈরির জন্য জমি লিজ দেওয়া হত। আরও লিখেছেন, বিশ্বভারতী সম্ভাবত পৃথিবীর একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যার এলাকার মধ্যে ২০০০ এর উপর জনসংখ্যা বিশিষ্ট তিনটি গ্রাম অবস্থিত। পিয়ার্সনপল্লি, বালিপাড়া ও কালীগঞ্জ নামক এই তিনটি গ্রাম বিশ্বভারতীর ৫০ একরের উপরে জমি অধিগ্রহণ করে আছে। গ্রামগুলি পঞ্চায়েত এবং পুরসভা কোনওটিরই অন্তর্গত না হওয়ায় এর সমস্ত দায়িত্ব বিশ্বভারতীর উপরেই বর্তায়।
উপাচার্যের বক্তব্য, গ্রামগুলিকে রাজ্য সরকারের অধীনে আনার ব্যাপারে বিশ্বভারতীর কোনও আপত্তি না থাকলেও সরকারিভাবে এখনও ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত হয়নি।
ডাকঘর থেকে শ্রীনিকেতন যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে গজিয়ে ওঠা অসংখ্য দোকান, অমর্ত্য সেন মার্কেটের দোকান, মেলার মাঠের উল্টো দিকে কবিগুরু মার্কেট, সমবায়িকা, কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটিও বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রয়েছে এবং আয়ের প্রশ্নে বিশ্বভারতীকে বঞ্চিত করছে বলেই উপাচার্যের অভিযোগ। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনেই যে কোনও হৃতজমি পুনরুদ্ধারে বদ্ধপরিকর বলেও উপাচার্য জানিয়েছেন। আশু কর্তব্য হিসেবে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, বিশ্বভারতীর জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলা, বিদ্যুৎ দফতর, স্টেট ব্যাঙ্ক, আকাশবাণী, দূরদর্শনের মতো সংস্থাগুলির থেকে প্রাপ্য ভাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি, কবিগুরু মার্কেটের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তও ঘোষণা করা হয়েছে খোলা চিঠিতে।
কবিগুরু হস্তশিল্প উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক আমিনুল হুদা আবার দাবি করেছেন, এই মার্কেট বিশ্বভারতীর জমির উপরে অবস্থিত নয়। তাঁর কথায়, ‘‘এই বিষয়ে ওঁর বলার এক্তিয়ার নেই। এই জমি রাজ্য সরকারের অধীনে। যদি জমি বিশ্বভারতীর হয় তবে উপযুক্ত কাগজ দেখান।”

অন্য বিষয়গুলি:

Visva Bharati Shantiniketan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy