রবিতে অক্ষত পুজো অযোধ্যায়, মঙ্গলে আসবে কলকাতা। — প্রতীকী চিত্র।
রামমন্দিরের উদ্বোধনের সময়ে ‘অযোধ্যা চলো’ স্লোগান নয়, ‘অযোধ্যায় আসুন’ বলবে গেরুয়া শিবির। কারণ, বাংলার রামভক্তদের জন্য অযোধ্যা থেকেই আসবে মন্দিরের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার আমন্ত্রণ। উত্তরপ্রদেশের রীতি মেনে বাংলায় আমন্ত্রণের চিঠির সঙ্গে আসছে ‘অক্ষত’ চাল। সব ঠিক থাকলে আগামী মঙ্গলবার ঘি মাখানো সেই হলুদ চাল কলকাতায় চলে আসবে। এর পরে তা জেলায় জেলায় যাবে। পরে বাড়ি বাড়ি। সঙ্গে অযোধ্যা থেকে আসা ২২ জানুয়ারির আমন্ত্রণপত্র।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগামী জানুয়ারি মাসে অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন। থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আরএসএসের সর-সঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। নির্বাচনের আগে অযোধ্যার সেই অনুষ্ঠানকে গোটা দেশের করে তোলার জন্য এই নভেম্বর থেকেই পূর্ণ মাত্রায় মাঠে নামছে গেরুয়া শিবির। তবে এখনই এ নিয়ে প্রচারে নামছে না বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ১০০ কুইন্টাল চাল মজুত হয়েছে অযোধ্যায়। আগামী রবিবার হবে অক্ষত পূজা। যে কোনও শুভ কাজের আগে এই পূজার রীতি রয়েছে হিন্দু ধর্মে। মনে করা হয়, উদ্যাপনের যে কোনও ক্ষয়ক্ষতি রোধ করে অক্ষত পূজা। প্রথমে হলুদ মাখানো হয় চালে। এর জন্য এক কুইন্টাল কাঁচা হলুদ তৈরি রেখেছে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। আরও এক কুইন্টাল দেশি ঘি। তিনে মিশে তৈরি হব অক্ষত চাল। এর পরে তা পিতলের কলসে ভরা হবে। এর পরে ‘অক্ষত কলস’ রামলালার সামনে রেখে হবে পুজো। শেষে তা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের উদ্দেশে রওনা দেবে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা ট্রেনে বা বাসে করে বিভিন্ন রাজ্যে যাবেন।
পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী মঙ্গলবারই অক্ষত কলস কলকাতায় পৌঁছে গেলেও এখনই তা বিলি করা হবে না। জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ যে হেতু পরিষদের সাংগঠনিক ভাগে দু’টি রাজ্য, তাই দু’টি কলসে আসবে ১০ কেজি অক্ষত চাল। তা সংরক্ষিত রাখবে পরিষদ। ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে আমন্ত্রণ। তবে তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। সেই সময়ে প্রতিটি জেলায় যাবে অক্ষত চাল। এর পরে বাড়ি বাড়ি যখন অযোধ্যার আমন্ত্রণ পৌঁছে দেওয়া হবে, তখন প্রত্যেক পরিবারকেই কয়েক দানা করে চাল দেওয়া হবে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা জানিয়েছেন, অযোধ্যায় মন্দির তৈরির জন্য দেশ জুড়ে অর্থ সংগ্রহ অভিযান চালানো হয়েছিল ২০২০-২১ সালে। সেই সময়ে দেশের ৬.৭৩ লাখ গ্রামে ১২.৭ লাখ পরিবারের কাছে যান পরিষদের নেতা-কর্মীরা। মোট ৬২ কোটি মানুষের সঙ্গে সেই সময় সম্পর্ক তৈরি হয়। এ বার মন্দির উদ্বোধনের দিনে সেই সব মানুষকেই অযোধ্যায় নিমন্ত্রণ জানানো হবে। বাংলাতেও ৩০ হাজার গ্রামে অযোধ্যার নিমন্ত্রণপত্র ও অক্ষত চাল পৌঁছনোর লক্ষ্য নিয়েছে পরিষদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy