বাসুদেব আচারিয়া।
চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরেই পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল তৃণমূলের হামলায় জখম সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ বাসুদেব আচারিয়াকে। রবিবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান বাসুদেববাবু। স্ত্রী রাজলক্ষ্মী আচারিয়া তাঁকে নিয়ে যান আদ্রায় এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে।
কাশীপুরের ওই ঘটনায় আহত অন্য দুই নেতা সুকুমার গঙ্গোপাধ্যায় ও সত্যনারায়ণ বাউড়িও এখন অনেকটাই সুস্থ বলে সিপিএম সূত্রে জানানো হয়েছে। রবিবার বাঁকুড়ায় গিয়ে ওই দুই নেতা এবং নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা দুই কর্মীকে দেখে এসেছেন পুরুলিয়া জেলা সিপিএমের সম্পাদক প্রদীপ রায়। তিনি বলেন, ‘‘বাকুঁড়ার নার্সিংহোমের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন অবস্থার উন্নতি হচ্ছে সুকুমারবাবুর। আমাদের আরেক নেতা সত্যনারায়বাবুর হাতে ও পায়ে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। দুই কর্মীও অপেক্ষাকৃত ভাল রয়েছেন এখন।’’
প্রদীপবাবু জানান, বাসুদেববাবুর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ফোন করেছিলেন গুজরাটের দলিত নেতা জিগ্নেশ মেবাণী। রবিবারই দিল্লি থেকে পুরুলিয়ায় ফিরে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকা প্রাক্তন সাংসদের খোঁজ নেন পুরুলিয়ার তৃণমূল সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো। মৃগাঙ্কবাবু বলেন, ‘‘দুপুরেই উনি হাসপাতাল থেকে ফিরে গিয়েছেন। তাই দেখা করা যায়নি। তবে ফোনে খবর নিয়েছি।’’
শুক্রবার দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করে কাশীপুর ব্লক দফতরে যাওয়ার সময়ে দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা বাসুদেব আচারিয়া-সহ কয়েকজন নেতা কর্মী। অভিযোগ, ব্লক দফতরের অদূরে সিপিএমের মিছিলের উপরে লাঠি, বাঁশ নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
ঘটনার পরে অবশ্য তৃণমূল পাল্টা অভিযোগ করেছিল, তাদের পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছে সিপিএম। শুক্রবার রাতে পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করে তারা। শনিবার রাতে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য প্রবোধ সিংহ মহাপাত্র কাশীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া-সহ জনা চব্বিশ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। রবিবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy