Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Sandeshkhali Incident

সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা খারিজ! ‘শিহরিত’ হাই কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করল, দিনভর উত্তপ্ত বসিরহাট

সন্দেশখালিতে ওঠা নারী নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা গ্রহণ করেছে কলকাতা হাই কোর্টের আর একটি বেঞ্চ। সেখানে বিচারপতির মন্তব্য, সন্দেশখালির ঘটনায় তিনি শিহরিত।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩৮
Share: Save:

গত বুধবার নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির নজরে থাকা শাহজাহান শেখের এখনও খোঁজ মেলেনি। কিন্তু শাহজাহান এবং তাঁর শাগরেদদের গ্রেফতারির দাবিতে পথে নামেন গ্রামবাসীদের একাংশ।পরিস্থিতি দেখে বসিরহাট পুলিশ জেলার অন্তর্গত সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। মঙ্গলবার সেই ১৪৪ ধারা বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রশাসনের নির্দেশে সন্দেশখালিতে আবার ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হচ্ছে। অন্য দিকে, সন্দেশখালিতে ওঠা নারী নির্যাতন-সহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা গ্রহণ করেছে কলকাতা হাই কোর্টের আর একটি বেঞ্চ। সেখানে বিচারপতির মন্তব্য, সন্দেশখালির ঘটনায় তিনি শিহরিত। বস্তুত, সন্দেশখালি এবং সন্দেশখালি নিয়ে নানা ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার। আর এ জন্য বিরোধীদেরই একহাত নিয়েছে তৃণমূল।সন্দেশখালিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার বেধেছে। এক দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙা, পুলিশের দিকে পাথর ছোড়ার ঘটনায় দফায় দফায় তপ্ত হয় বসিরহাট। অন্য দিকে, সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্যের জেলায় জেলায় বামেদের কর্মসূচিতেও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে একাধিক জেলায়। যা নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘স্মৃতি ইরানির (কেন্দ্রীয় মন্ত্রী) উস্কানিতে বিজেপি গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। ওদের উদ্দেশ্য অশান্তি জিইয়ে রাখা। বিজেপির লোকজন এমন পাথর ছুড়েছে যে সাধারণ মহিলারাও আক্রন্ত হয়েছেন। এরা আবার মা-বোনেদের সুরক্ষা নিয়ে বড় বড় কথা বলছে!’’ একই সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের গলায়। তাঁর দাবি, ‘‘সন্দেশখালির দু’একটি এলাকায় বিজেপি ও সিপিএম অশান্তি করছে। পুলিশ ওখানে সংযত থেকে তাদের ভূমিকা পালন করছে। সিপিএম ভুলে যাচ্ছে নিজেদের জমানার কথা। যখন পু্লিশ ছিল ‘ট্রিগার হ্যাপি’। আর সুকান্ত মদুমদারেরা যেন খেয়াল রাখেন তাঁদের শাসনের রাজ্যগুলিতে মহিলাদের কী অবস্থা।’’ আর সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে বসিরহাটে এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, তাঁদের উপর ছাদ থেকে ঢিল ছুড়েছেন তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। একই কাজ করেছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। পাশাপাশি, ওই কর্মসূচি থেকে সাত জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারের অভিযোগ করে এসপি অফিসের সামনে রাতভর ধর্নার কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি। এবং তাঁর নির্ঘোষ, ‘‘অভিযোগ না শোনা পর্যন্ত ধর্না চলবে।’’ ইতিমধ্যে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি হয়ে গিয়েছে এসপি অফিসের পাশে। সেখানে সুকান্তের সঙ্গে রয়েছেন বিজেপির কর্মীসমর্থকেরা।

এই ঘটনাপ্রবাহের মধ্যেই সন্দেশখালির পৃথক দু’টি মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ এবং তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা তথা শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দারকে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালত। অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন, সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন নিয়ে যে অভিযোগ শুনেছেন, তাতে তিনি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। আবার এর মধ্যে সন্দেশখালিতে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সভা করার কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। সন্দেশখালি ঘুরে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের দাবি ‘খেলা ঘুরে গিয়েছে।’

সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা খারিজ

সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করার নির্দেশ খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কিন্তু সন্দেশখালিতে পুরো এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এবং সেটা হয়েছে উপদ্রুত জায়গা চিহ্নিত না করেই। তার পর আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ওই এলাকায় আরও সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। বস্তুত, সোমবার বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সন্দেশখালি যেতে গিয়ে প্রশাসনিক বাধার মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে ঢুকতে চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেন তিনি। ওই আবেদনে জানানো হয়, ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে সন্দেশখালি যেতে পারেননি তিনি। মঙ্গলবার সন্দেশখালি নিয়ে শুভেন্দুর সেই মামলার নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। তাঁর পর্যবেক্ষণ, যে হেতু ১৪৪ ধারা খারিজ করা হয়েছে, তাই ওই মামলাটির আর গ্রহণযোগ্যতা নেই। এখন শুভেন্দু সেখানে যেতে পারেন। যা নিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া, প্রতিটি ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের উপর এ ভাবে নির্দেশ গেলে সমস্যা হতে পারে। আর যাতে ‘প্ররোচনা’ না আসে, সে বিষয়টি সকলের উচিত নিশ্চিত করা।

সন্দেশখালি নিয়ে শিহরিত কলকাতা হাই কোর্ট

সন্দেশখালিতে যা ঘটছে তা উচ্চ আদালত শিহরিত! মঙ্গলবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করার পর এমনই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়। তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালির দু’টি ঘটনায় আমি শিহরিত। প্রথমত, আদিবাসীদের জমি দখলের অভিযোগ। দ্বিতীয়ত, সেখানকার মহিলাদের মাথায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ধর্ষণ করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে আদালত এই মামলা নিচ্ছে।’’ পাশাপাশি বিচারপতি এ-ও জানিয়েছেন সন্দেশখালি নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করার এটিই সঠিক সময়। বিচারপপতির কথায়, ‘‘মানুষ রাতে ঘুমোতে যায় এটা ভেবে যে, মাথার উপর আদালত রয়েছে।’’ বস্তুত, সন্দেশখালিতে যা যা ঘটেছে তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে যে সব ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে আমি ক্ষুব্ধ। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। এক জন বিচারপতি হিসাবে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ গ্রহণ করার আমার যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। সেখানে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘অবৈধ উপায়ে আদিবাসীদের জমি নেওয়া হচ্ছে। আমরা জানি, আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর হতে পারে না। আইন মোতাবেক, একজন আদিবাসী অন্য আদিবাসীকে জমি হস্তান্তর করতে পারেন।’’ পরবর্তী শুনানিতে সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায়কে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিংহরায়। বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, এ বিষয়ে রাজ্যকে নোটিস জারি করবে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। নোটিস জারি করা হবে রাজ্য পুলিশের আইজি, বারাসাত রেঞ্জের ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসককে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

বসিরহাট এসপি অফিসের সামনে রাতভর ধর্নায় সুকান্ত

সোমবার সন্দেশখালিতে যেতে গিয়ে পথে আটকে গিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে ট্রেনে চেপে বসিরহাট গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর বিজেপির ওই এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল এলাকা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপির কর্মীসমর্থকেরা এগোতে গেলে বাধা আসে। তার পরিণতিতে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ। একে অপরের বিরুদ্ধে ইট ছোড়ার অভিযোগ করেছে। সুকান্তের দাবি, তাঁদের অভিযোগ শুনতেই চাইছে না পুলিশ প্রশাসন। উপরন্তু তাঁদের সাত জন কর্মীকে গ্রেফতা করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে তিনি ধর্না দিয়েছেন এসপি অফিসের সামনে। সুকান্ত জানিয়ে দেন পুলিশ তাঁদের দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্না চলবে। মঞ্চ করে এসপি অফিসের সামনে রাত জাগছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতিরা।

সন্দেশখালিতে পুলিশের ১০ সদস্যের তদন্ত কমিটি

সন্দেশখালি নিয়ে পুলিশ যে ১০ জনের বিশেষ দল তৈরির কথা ঘোষণা করেছিল সোমবার, মঙ্গলবার সকালে সেই দলের প্রধান হিসাবে ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র সন্দেশখালি যান। গত সপ্তাহে দফায় দফায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল সন্দেশখালিতে। রাস্তায় নেমে আন্দোলনে শামিল হন গ্রামের মানুষ। সেই সব বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একেবারে সামনের সারিতে দেখা গিয়েছিল বহু মহিলাকে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, এলাকার কমবয়সি সুন্দরী মহিলাদের ‘আলাদা’ চোখে দেখতেন শাহজাহানের শাগরেদ শিবপ্রসাদ হাজরার বাহিনীর লোকেরা। জোর করে তাঁদের মিটিং-মিছিলে ডেকে নিয়ে যাওয়া তো বটেই, রাতের দিকেও বাড়িতে ডেকে পাঠানো হত। না গেলেই দেওয়া হত হুমকি। শ্লীলতাহানিরও অভিযোগ তুলেছিলেন মহিলাদের একাংশ। সেই সব অভিযোগ নিয়ে রাজ্য জুড়ে তো বটেই, এ বার জাতীয় স্তরেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। র পর সন্ধ্যাতেই রাজ্য পুলিশের তরফে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।

সন্দেশখালিকাণ্ডে জাতীয় মহিলা কমিশন

সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখতে এলাকায় যান জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। গ্রামে ঘুরে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলছেন কমিশনের দুই প্রতিনিধি। তৈরি হচ্ছে রিপোর্ট।

পুলিশি বাধা পেল কংগ্রেস

উত্তর ২৪ পরগনার ধামাখালির রামপুরে যুব কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে মঙ্গলবার আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন যুব কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যুব কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। তার পরে বিক্ষোভকারীদের বাসে তুলে নিয়ে চলে যায় পুলিশ।

জেলায় জেলায় পথে সিপিএম

সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে এবং তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানদের গ্রেফতারির দাবিতে দিকে দিকে পুলিশ সুপারের অফিসে অভিযান করে বামেরা। মঙ্গলবার সকালে প্রথমে মেদিনীপুরের কালেক্টরেট অফিসে আইন অমান্য কর্মসূচি শুরু করেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। একই ভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের এসপি অফিস এবং এসডিও অফিসের সামনেও বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী-সমর্থকেরা। পুলিশের সঙ্গে সেখানেই ধস্তাধস্তি বেধে যায়। বহরমপুরেও তীব্র উত্তেজনার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

সন্দেশখালির উত্তাপ গড়াল কলকাতাতেও

সন্দেশখালির আঁচ কলকাতাতেও পড়েছে। মঙ্গলবার শহরের রাজপথে নামে বিজেপি, সিপিএম থেকে নাগরিক সমাজ। ধর্মতলায় নাগরিক সমাজের মিছিলে দেখা গেল কামদুনিকাণ্ডের সেই প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল এবং মৌসুমী কয়ালদের। গণেশ টকিজ় মোড়ে মিছিল করেন দলের কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশ বাধা দিলে রাস্তাতেই বসে পড়েন তাঁরা। পরে সেখান থেকে যান মৌলালিতে। অন্য দিকে, রাজ্য দফতর মৌলালিতে মিছিল করে বামেদের যুব শাখা ডিওয়াইএফআই। হাতে মশাল নিয়ে সন্দেশখালি নিয়ে স্লোগান দেন কর্মী-সমর্থকেরা। প্রতিরোধ গড়ে তোলার দাবি তোলেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির অভিযোগও উঠেছে। মিছিলের জেরে সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে যানজট তৈরি হয়।

সন্দেশখালি নিয়ে তৃণমূল

গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল সন্দেশখালিতে। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীরা। তাঁর বাড়িতেই তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনার পর থেকে পলাতক শাহজাহান। সেই ঘটনার পর এই প্রথম বার সন্দেশখালি গেল তৃণমূল। রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক সেখানে ঘোষণা করেন, লিজ়ে ভেড়ি নিয়ে টাকা না দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, তা সমাধান করবে তৃণমূল। তবে মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে সভা করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসকদল।

সন্দেশখালিকাণ্ডে দ্বিতীয় বার গ্রেফতারের পর হেফাজত

সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত বিজেপির বিকাশ সিংহ এবং তৃণমূল থেকে বহিষ্কার হওয়া নেতা উত্তম সর্দারকে দ্বিতীয় বার গ্রেফতারির পর চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারক। সন্দেশখালিতে পৃথক অভিযোগে গত শনিবার গ্রেফতার হন বিকাশ এবং উত্তম। সোমবার তাঁদের আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক জামিন দেন দু’জনকেই।

অন্য বিষয়গুলি:

Sandeshkhali Incident Sandeshkhali Violence sandeshkhali Basirhat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy