বিজেপির বিক্ষোভের জেরে বাগবাজার ঘাটের কাছে যানজট। আটকে পড়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। বুধবার। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
তর্পণ হল দলীয় ‘শহিদ’দের স্মৃতিতে। কিন্তু পূর্বঘোষণা মতো বিজেপি-র রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তর্পণস্থলে দেখা গেল না। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, পুলিশি বাধায় তাঁরা গঙ্গার ঘাটে তর্পণস্থলে পৌঁছতে পারেননি। কিন্তু যে ঘাটে তর্পণ করার প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল, তার বদলে অন্য ঘাটে তর্পণ হয়েছে।
গত বছর মহালয়া থেকে এ পর্যন্ত দলের যত কর্মী ‘শহিদ’ হয়েছেন, তাঁদের জন্য বুধবার বাগবাজারে গঙ্গার বিচালি ঘাটে তর্পণ করার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় বাগবাজারেই গোলাবাড়ি ঘাটে ওই কর্মসূচি করে তারা। দলের ২১ জন ‘শহিদ’-এর উদ্দেশে তর্পণে যোগ দেন ১১ জনের পরিবার। করোনা আবহের জন্য উত্তরবঙ্গের ‘শহিদ’ পরিবারের লোকেদের এ দিনের কর্মসূচিতে বিজেপি আনেনি। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুলিশের বাধা আসতে পারে আঁচ করে গোলাবাড়ি ঘাটকে বিকল্প জায়গা হিসেবে ভেবে রাখা হয়েছিল। সেটাই হয়েছে। রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ, প্রতাপবাবু, মুকুল রায়-সহ দলের নেতারা অবশ্য বাগবাজার স্ট্রিট এবং রবীন্দ্র সরণির মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে পড়েন। সেখানেই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশের সঙ্গে গোলমালের জেরে ছয় বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁরা ছাড়া পান। প্রতাপবাবু বলেন, ‘‘পুলিশ আমাদের আটকালেও তর্পণ আটকাতে পারেনি। আমাদের কর্মীরা সরকার বাড়ি লেন দিয়ে গোলাবাড়ি ঘাটে পৌঁছে তর্পণ সেরেছেন।’’ কৈলাস অভিযোগ করেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘু তোষণকারী এবং হিন্দুবিরোধী সরকার রয়েছে। তাই তারা বারে বারে তর্পণ-সহ হিন্দুদের নানা ধর্মাচরণে বাধা দিচ্ছে।’’ সেই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘‘এই রকম অতিমারির সময়ে কোনও রকম জমায়েত বা ভিড় কারওরই করা উচিত নয়। আমরাও দলের কর্মসূচি সেই নিয়ম মেনেই করছি। বিজেপি শুধু প্রচারে থাকার জন্য নিয়ম ভাঙছে। ফলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy