পুজোয় বাস চালিয়ে আয়ের রেকর্ড পরিবহণ দফতরের!
দু’বছর করোনা-পর্ব কাটিয়ে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছিল আমজনতা। তার প্রভাব পড়েছে পরিবহণ ক্ষেত্রে। তাই দু’বছর পর সরকারি পরিবহণ বিপুল আয়ের মুখ দেখেছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এ বারের পুজোর আগে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এসবি এসটিসি)-র অস্থায়ী কর্মীদের ধর্মঘটের জেরে খানিক বিব্রত হয়েছিল পরিবহণ দফতর। কিন্তু পুজোর মুখে সেই আন্দোলন উঠে যাওয়ায় প্রায় এক হাজার বাস রাস্তায় নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরিবহণ দফতর। পুজোর ক’দিন প্রায় সাড়ে সাতশো থেকে আটশো বাস চালানো হয়েছে। এই বাস চালিয়েই করোনা পর্বের পর প্রায় আড়াই কোটি টাকারও বেশি আয় করেছে পরিবহণ দফতর। দুর্গাপুজোয় বাস চালিয়ে পরিবহণ দফতরের আয় হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৩৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৪৫ টাকা। এমন আয়ের ফলে খুশি পরিবহণ দফতর। দু’বছর খরার মরসুম কাটিয়ে একে রেকর্ড আয় হিসেবেই দেখছে তারা।
এর পাশাপাশি, দুর্গাপুজোর সময় সচল ছিল পরিবহণ দফতরের অধীনে থাকা ভেসেল পরিষেবাও। সেখান থেকে পরিবহণ দফতরের আয় হয়েছে ২৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৭৫ টাকা। এ ছাড়াও পুজোর সময় বেশ কিছু ‘স্পেশাল বাস’ চালিয়েছিল তারা। সেই খাতেও ভাল আয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক। এই ক্ষেত্রে আয় হয়েছে ১৪ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৫০ টাকা। ফলে মোট আয় হয়েছে প্রায় ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের দু’বছর মণ্ডপে সাধারণ মানুষকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ফলে সাধারণ মানুষ সে ভাবে ঠাকুর দেখতে বের হতে পারেনি। কিন্তু এ বার করোনার সংক্রমণের বিধি-নিষেধ না থাকায় শহর কলকাতার উত্তর থেকে দক্ষিণ— সর্বত্রই নেমেছিল জনতার ঢল। আর তাতেই লাভের মুখ দেখতে সব মূল্য পেয়েছে পরিবহণ দফতর। তাই পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘কালীপুজোয় বারাসতের জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা যায় কি না, সে বিষয়ে আমরা ভাবনাচিন্তা করছি। সে বিচার ইতিবাচক কোনও সিদ্ধান্ত হলে আমরা তা যথাসময়ে জানিয়ে দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy