Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
SBSTC

SBSTC: কোপ এসবিএসটিসি কর্মীদের বেতনে

পরিযায়ী শ্রমিক ও অন্যান্যদের কোয়রান্টিন সেন্টারে পৌঁছতে এসবিএসটিসি-র বাস ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রচুর তেল খরচ হলেও সেই টাকা মেটানো হয়নি।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২২ ০৬:৫৯
Share: Save:

বিভিন্ন ডিপোয় একের পর এক বাস বন্ধ হচ্ছিলই। এ বার দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (এসবিএসটিসি) কর্মীদের বেতনেও কোপ পড়ল। চলতি অগস্টে নিগমের কর্মীরা মোট বেতনের ২৫ শতাংশ কম পেয়েছেন। নিগম সূত্রে খবর, ডিপো ইনচার্জ, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, জ়োন ইন্সপেক্টর, টিকিট পরীক্ষক থেকে শুরু করে ডিভিশনাল কর্তাদেরও বেতনের ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির বাজারে ওই কর্মী-আধিকারিকদের পরিবার সমস্যায় পড়েছে। সঙ্গে ঘনিয়েছে ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা। এসবিএসটিসি-র এক কর্মী বলেন, “প্রায় ৩০ বছর চাকরি করছি. কখনও কম বেতন পাইনি। একের পর এক বাস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পুরো বেতন দেওয়া হচ্ছে না। এ সবের জেরে ভয়ে আছি।” নিগমের চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডলের অবশ্য আশ্বাস, “আগামী ছ’মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। কর্মীদের আশঙ্কার কোনও কারণ নেই।”

কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? নিগম সূত্রে খবর, আর্থিক সঙ্কট অনেকটাই বেড়েছে। তখন পরিযায়ী শ্রমিক ও অন্যান্যদের কোয়রান্টিন সেন্টারে পৌঁছতে এসবিএসটিসি-র বাস ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রচুর তেল খরচ হলেও সেই টাকা মেটানো হয়নি। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে আবার জ্বালানির দাম আকাশ ছুঁয়েছে, অথচ বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। নিগমের এক কর্তা জুড়ছেন, ‘‘চলতি অর্থবর্ষে এসবিএসটিসি-র ‘প্ল্যানফান্ডে’ কোনও অর্থ বরাদ্দ করেনি রাজ্য সরকার। ফলে ব্যাপক পরিমাণ আর্থিক বোঝা চেপেছে নিগমের মাথায়।’’

তবে আর্থিক সঙ্কটের জেরেই কর্মীদের বেতন কেটে নেওয়া হয়েছে কি না সরাসরি মানছেন না কেউ। তবে নিগমের চেয়ারম্যান সুভাষও বলছেন, “কোভিড পরিস্থিতির প্রথম পর্যায়ে যথেচ্ছ ভাবে লাভজনক রুটের বাসগুলিকে বিভিন্ন এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়া, মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে দফতর ভাড়া করা, কর্মীদের পদোন্নতিতে নানা অনিয়ম-সহ বেহিসাবি কাজকর্মের জন্যই আর্থিক দুরবস্থা হয়েছে।” একই সঙ্গে সুভাষের দাবি, “ভাড়া বাড়ি ছেড়ে দেওয়া-সহ নানা পদক্ষেপ করে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা খরচ কমিয়েছি। অন্য দিক দিয়েও আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ করে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চলছে।”

এ ক্ষেত্রে অনুমান, সুভাষ আর্থিক সঙ্কটের দায় প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী, বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও নিগমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান দীপ্তাংশু চৌধুরীর উপর চাপাতে চেয়েছেন। তবে শুভেন্দু ফোন ধরেননি, জবাব দেননি মেসেজের। দীপ্তাংশুর সঙ্গেও ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। নতুন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট এই বিষয়টি জানা নেই। আমার কাছে এলে নিশ্চিত গুরুত্ব দিয়ে দেখব।’’

অন্য বিষয়গুলি:

SBSTC bankura Government bus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy