ভিন্রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন মুর্শিদাবাদের এক ঠিকাদার এবং এক পরিযায়ী শ্রমিক। বৃহস্পতিবার তাঁদের দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় এ রাজ্যে।
মুর্শিদাবাদের সুতি থানার অন্তর্গত আহিরণ শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাদেক শেখ (৪১) রাজমিস্ত্রি সরবরাহের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন ওড়িশায়। তিন মাস আগে বাড়ি ছেড়ে ওড়িশায় গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, দিন দুয়েক আগে মদ্যপানের জন্য টাকা না-দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাদেকের সঙ্গে বচসা বাধে মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিক রেজাউল শেখের। সেই সময় রেজাউল তাঁকে মারধর করে নির্মীয়মান একটি চৌবাচ্চার মধ্যে ফেলে দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সাদেককে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন:
মৃতের ভাই মান্নার শেখ বলেন, ‘‘আমার দাদার অধীনেই রাজমিস্ত্রির কাজ করত রেজাউল। টাকা নিয়ে এক দিন কাজ করার পরে কামাই করেছিল। পরে এক দিন আবার কাজ করতে এলে দাদা তাঁকে একটু বকাবকি করেছিল। সেই সময় রেজাউল মদ খাওয়ার জন্য ১০০ টাকা চায়। দাদা সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় হঠাৎই সে আমার দাদাকে মারধর করে এবং একটি জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। সেখানেই মাথায় চোট লেগে আমার দাদার মৃত্যু হয়েছে।’’
অন্যদিকে, মেয়েদের বিয়ের জন্য নেওয়া ধারের বিপুল টাকা শোধ করার জন্য পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে দক্ষিণ ভারতের একটি রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদেরই এক শ্রমিকের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম রব্বুল শেখ (৩৮)। তাঁর বাড়ি রঘুনাথগঞ্জ থানার জরুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওমরপুর গ্রামে।
বৃহস্পতিবার, পরিযায়ী ঠিকাদার ও শ্রমিকের দেহ নিয়ে আসা হয়েছে তাঁদের বাড়িতে।