ঝাড়গ্রামে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল যুবককে। ঝাড়গ্রাম পকসো আদালত বৃহস্পতিবার এই শাস্তি শুনিয়েছে। অভিযোগ, দু’বছর আগে ওই যুবক ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেছিলেন। তার ফলে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল। পরে তার গর্ভপাত করানো হয়। ২০২৩ সালেই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কিশোরীর মা। পকসো আইন অনুসারে মামলা এগোয়। এত দিনে যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি ঘোষণা করল আদালত।
আরও পড়ুন:
অভিযুক্ত বাঁকুড়ার বাসিন্দা ৩৫ বছরের অপূর্ব রুইদাস। ২০২৩ সালের মে মাসে ঝাড়গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই ওই আত্মীয়ের প্রতিবেশীর বাড়িতে নাবালিকাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে লোকলজ্জার কারণে প্রথমে পরিবারের তরফে কাউকে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু গর্ভপাতের পর নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সিসিইউতে ভর্তি করানো হয় তাকে। ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তার মা ঝাড়গ্রাম মহিলা থানায় যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারা এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
দু’মাসের মাথায় এই ঘটনার চার্জশিট আদালতে জমা দেন তদন্তকারী অফিসার মৌমিতা জানা। মোট ১৫ জন আদালতে সাক্ষী দিয়েছিলেন। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার অপূর্বকে দোষী সাব্যস্ত করেন ঝাড়গ্রাম পকসো আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার শাস্তি ঘোষণা করা হল।
সরকার পক্ষের আইনজীবী শুভাশিস দ্বিবেদী জানিয়েছেন, দোষীকে ২২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। তাঁকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে বলা হয়েছে। তা না-দিতে পারলে আরও তিন মাস অতিরিক্ত কারাদণ্ড ভোগ করবেন যুবক।