(বাঁ দিকে) সাঁকরাইলের বাসুদেবপুর শিবতলায় সুমন হাজরার বাড়ি এবং বিপ্লবের বাড়ি (ডান দিকে)।
সোমবার আর জি কর দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে গ্রেফতার হন তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা। এলাকার মানুষ বলছেন, গত কয়েক বছরে দু’জনেরই ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ হয়েছিল।
সামান্য আঁকার প্রশিক্ষক থেকে বড় ব্যবসায়ী। সাইকেল থেকে এক ধাক্কায় দামি গাড়ি। পরপর বাড়ি কেনা, ছেলের নামে ওষুধ সরবরাহের ব্যবসা— হাওড়া সাঁকরাইলে পাড়ার ছেলে বিপ্লব সিংহের এমন ‘উন্নতি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বাসুদেবপুরের হাটগাছার বাসিন্দারা। এলাকাবাসী জানান, ভাল ছবি আঁকতেন বিপ্লব। ছোটদের আঁকা শেখাতেন। বিপ্লবের বাবা ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তাঁর হাত ধরেই হাসপাতালের শয্যার নম্বর, নানা বোর্ডে লেখার কাজ শুরু করেন। সঙ্গে ব্যানার-ফ্লেক্স সরবরাহও। এর পর তিনি আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যবসা শুরু করেন। এলাকার বাসিন্দারা জানান, এর পর থেকেই রমরমা শুরু বিপ্লবের। সাইকেল থেকে রাতারাতি দামি গাড়ি কিনে ফেলেন। দোতলা বাড়ির একাংশ বিলাসবহুল করেন। আরও একটি বাড়ি কেনেন তিনি। ছেলের নামে একটি ওষুধ সরবরাহ সংস্থা খোলেন বলেও দাবি।
এলাকাবাসী জানান, বিপ্লবকে এই ব্যবসার পথ দেখান এলাকার শিবতলার বাসিন্দা সুমন হাজরা। দুইল্যার পাকুড়তলায় তাঁর ওষুধের দোকান। এলাকাবাসীর দাবি, গত সাত-আট বছরে হঠাৎ করে ‘বড়লোক’ হয়ে গিয়েছিলেন সুমনও। দামি গাড়ি কেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেদার দান। এক এলাকাবাসীর কথায়, ‘‘পাড়ায় মেলামেশাও কমিয়ে দিয়েছিলেন।’’
এ দিন বিপ্লব ও সুমনের বাড়িতে গেলেও কারও দেখা মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy