টিউটোপিয়া - বাংলায় শিক্ষার আধুনিক অ্যাপ
পৃথিবীতে দু’ধরণের যোদ্ধা বা সৈনিক আছেন। একদলকে আমরা সকলেই চিনি - যারা আছেন সীমান্তে বা কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে। আর একদল হলেন, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মা-বাবারা। সন্তানের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানকে সুনিশ্চিত করা এবং তার শখ-আহ্লাদ পূরণ করার চেষ্টায় প্রতিদিনের লড়াই-সংগ্রামের যুদ্ধটা ঠিক কেমন, তা একজন মা-বাবা’ই বোঝেন। এই সন্তানরাই তো দেশের ভবিষ্যৎ। দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে, মা-বাবা’দের প্রতিদিনের সংগ্রামকে, টিউটোপিয়া জানায় লাখো লাখো সেলাম।
খাওয়া-পরা হল, থাকার ব্যাবস্থা হল। শখ-আহ্লাদও যতটা সম্ভব মেটানোর চেষ্টা করা হল। ঠিক এরপরেই আসছে সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা। বোধহয় এটাই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বলা ভালো বেঁচে থাকার প্রধান অস্ত্র। আর তা হল ‘শিক্ষা’।
অনেক সময়ই দেখা যায়, ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করতে চাইছে না, কিন্তু একজন বাবা-মায়ের চেয়ে কে আর ভালো জানে, যে এই শিক্ষার প্রয়োজনটা ঠিক কতখানি। নিজের জীবন দিয়ে অভিভাবকরা এটা বোঝেন যে, পড়াশুনা, ভালো রেজাল্ট - এসব সেই সঞ্জীবনী, যা ম্যাজিকের মত তাদের সন্তানের জীবনকে বদলে দিতে পারে।
তাই, বাবা-মায়েরা চান, তাদের সন্তান মন দিয়ে ভালোভাবে পড়াশুনা করুক এবং ভালো রেজাল্ট করুক। কিন্তু,যা চাওয়া হয়, তাই কী সবসময় হয়? অনেকক্ষেত্রেই তা হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়,ছেলেমেয়েরা ভালো করে পড়াশুনা করছে না, পড়াতে তার এতোটুকু মন নেই। ফলে স্বাভবিকভাবেই তার রেজাল্টও খারাপ হচ্ছে। হতাশ হচ্ছেন মা-বাবা’রা, দুশ্চিন্তা করছেন। দিনের পর দিন হতাশা, দুশ্চিন্তা, যন্ত্রণা তাদের মধ্যে জন্ম দিচ্ছে রাগ। আর সেই রাগে, কখনো যদি হাতটা উঠে যায়…
কিন্তু, কে আর চায় নিজের যত্নের সন্তানকে আঘাত করতে? যে নরম তুলতুলে শরীরটা একদিন কোলে তুলে নিয়েছিলেন আলতো করে, যার খিলখিল হাসি ভরিয়ে দিয়েছিল একজন মাবাবার পৃথিবী, সেই সন্তানের গায়ে থাকবে তাদের রাগের দাগ?
অভিভাবকরাও বোঝেন, সন্তানের সাথে প্রতিদিন বেড়ে যায় তাদের দুরত্ব। কিন্তু, তিনিই বা কি করবেন! তিনিও তো একা। দৈনন্দিন জীবনের ঝড়ঝাপটায় তিনিও ক্লান্ত। এরইমধ্যে সন্তানের ব্যর্থতার খবর, তার মধ্যে নিয়ে আসে পরাজয়ের গ্লানি। হয়ত সব হতাশার মধ্যেও এই সন্তানদের নিয়েই একটু স্বপ্ন দেখছিলেন তারা। কিন্তু, সন্তান কেন পড়াশুনা করছে না, কেন ভালো ফল হচ্ছে না, এসব নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ভাবার মত জীবনীশক্তি তখন আর তার নেই।
কিন্তু উত্তর তো খুঁজতেই হবে, কাউকে না কাউকেই। কারণ, ওই যে, ওরাই দেশের ভবিষ্যৎ। দেশের ভবিষ্যতকে কি এভাবে শেষ হয়ে যেতে দেওয়া যায়?
না। যায় না। টিউটোপিয়ার মনোবিজ্ঞানী শিক্ষক-শিক্ষিকারা তা হতে দেবেন না। ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মন নিয়ে গবেষণা করে তাঁরা বের করেছেন - কী কারণে ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করছে না।
আসলে, পড়াশুনা করতে তাদের ভালোই লাগে না। কি করে ভালো লাগবে? চারপাশে প্রতিদিন, বিনোদনের আকর্ষণ যেভাবে বাড়ছে, সেখানে, পড়াশুনা এখনও সেই গতানুগতিকভাবেই চলছে। টিউটোপিয়ার ডিরেক্টর সুব্রত রায় বলছেন, “আমরা দেখলাম - পড়াশুনাকে কোনোভাবে যদি আকর্ষণীয় করে ওদের সামনে তুলে ধরা যায়, তাহলে ওরা পড়াশুনাকে ভালবাসতে পারবে। আর, একবার যদি তারা ভালবাসাটা খুঁজে পেয়ে যায়, তাহলে আমাকে আপনাকে আর বলতে হবে না – ‘ওরে পড়তে বস। পড়তে বস।“
টিউটোপিয়ার অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথায় – “সিলেবাসের প্রতিটি বিষয়কে, গল্প বলার মধ্যে দিয়ে, অ্যানিমেশনের সাহায্য নিয়ে আমরা সিনেমার মতো করে তৈরি করেছি ভিডিও ক্লাস। এরই সঙ্গে রয়েছে নোটস ও পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাবস্থাও”।
মফঃস্বলের একটি স্কুলের এক অভিভাবকের প্রতিক্রিয়ায় –“ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার সমস্যা শুধু আর ওদের থাকে না, ওটা পারিবারিক সমস্যায় দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানের কোনো দিশা আমরা পাইনি এতদিন। টিউটোপিয়া যদি আমাদের হয়ে এই সমস্যার সমাধান করে দিয়ে থাকে, তাহলে এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না। আমার মেয়ের জন্য আমি টিউটোপিয়া লার্নিং অ্যাপ-টি নিয়ে দেখতে চাই”।
ঠিক এভাবেই, প্রতিদিন, বহু মা-বাবা’ই তার সন্তানের পড়াশুনার জন্য বেছে নিচ্ছেন টিউটোপিয়াকে।
সুব্রত রায়-এর কথায় - “আমাদের ভাল লাগছে, বাংলা মাধ্যমের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে পেরে। ওরাই তো দেশের ভবিষ্যৎ। দেশের ভবিষ্যতকে তো আর বিপদের মধ্যে রাখা যায় না! আমরা প্রতিদিন চেষ্টা করছি টিউটোপিয়াতে পড়াশুনার মান আরও কি করে ভালো করা যায়। আমি চাই, খুব সহজ সরলভাবে আন্তর্জাতিক মানের পড়াশুনাকে ছেলেমেয়েদের কাছে পৌঁছে দিতে। এরপরের কাজটা কিন্তু বাবা-মায়েরদের। আমরা আশা করছি, তারা তাদের সন্তানের পড়াশুনার জন্য বেছে নেবেন টিউটোপিয়াকে। ছেলেমেয়েদের হাতে টিউটোপিয়া অ্যাপ তুলে দেওয়ার অর্থ হল, দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার পথে এক ধাপ।মা-বাবা’রা আজ আর একা নন, তাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রয়েছে টিউটোপিয়া।
এই প্রতিবেদনটি টিউটোপিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy