খেলা হবে দিবসকে প্রচারে কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল।- ফাইল চিত্র।
১৬ অগস্ট রাজ্য জুড়ে পালিত হবে ‘খেলা হবে’ দিবস। আর এই দিনটিকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপনির্বাচনী প্রচার হিসেবে কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল। গত ২১ জুলাই শহিদ দিবসের ভার্চুয়াল সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ‘খেলা হবে’ দিবস পালনের কথা ঘোষণা করেন। জানা যায়, শাসক দলের বিধায়করা তাঁদের বিধানসভা এলাকার একটি জায়গায় কেন্দ্রীয় ভাবে ‘খেলা হবে’ দিবস পালন করবেন। যেখানে সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্লাব ও বিভিন্ন সংগঠনকে হাজির থাকার আমন্ত্রণ জানাবেন বিধায়করা। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের পর ভবানীপুর এখন বিধায়ক শূন্য। এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন মমতা। সেই ভাবনা থেকেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তার ওপরে বাড়তি পাওনা এই ‘খেলা হবে’ দিবস।
অন্য বিধানসভা ক্ষেত্রে শাসক দলের বিধায়করা একটি জায়গায় কেন্দ্রীয় ভাবে ‘খেলা হবে’ দিবস পালন করলেও, ভবানীপুরের ক্ষেত্রে অন্য রণনীতি নিচ্ছে তৃণমূল। মোট আটটি ওয়ার্ড নিয়ে ভবানীপুর বিধানসভা। দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী, সবক’টি ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা কোঅর্ডিনেটর তথা ব্লক সভাপতিদের আলাদা ভাবে ‘খেলা হবে’ দিবস পালন করতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফলে দায়িত্বপ্রাপ্ত সমস্ত কোঅর্ডিনেটর একাধিক ‘খেলা হবে’ দিবস কর্মসূচির আয়োজন করবেন নিজেদের ওয়ার্ডে।
সবচেয়ে বড় ‘খেলা হবে’ দিবসের অনুষ্ঠানটি হবে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে। সোমবার দুপুরে ওই ওয়ার্ডের হরীশ পার্কে জাতীয় দলে খেলা ফুটবলাররা একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলবেন। ওই ম্যাচে একটি দলের নেতৃত্ব থাকবেন প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার মেহতাব হোসেন। বিপরীতে থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার ক্লাব কালীঘাট মিলন সংঘ। ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে ওই দিন ছ’টি আলাদা ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ৭১ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বাবুল সিংহের দাবি, ‘‘দিদির জমানায় আমরা ভবানীপুরে কত ভাল আছি তার প্রমাণ এই ‘খেলা হবে’ দিবস। কেউ এই কর্মসূচিকে উপনির্বাচনের প্রচার বলতেই পারেন। কিন্তু আমাদের কাজ দিদির সাফল্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরা। আমরা সেই কাজ করছি।’’
৭৪ নম্বর ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটর দেবলীনা বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা আশা করি, উপনির্বাচনে দিদিই আমাদের প্রার্থী হবেন। ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণা না হলেও আমরা কিন্তু তাঁর হয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছি। আর ‘খেলা হবে’ দিবস দিয়ে আমরা এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে চাইছি। শুধুমাত্র খেলার সরঞ্জাম বিতরণ বা ফুটবল টুর্নামেন্ট করে এই বিশেষ দিনের উদ্দেশ্য সফল হবে না। আমরা এলাকার মহিলা ও শিশুদের নিয়েও নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। হতেই পারে আমাদের এই উদ্যোগ উপনির্বাচনের প্রচারের কাজে লাগবে।’’
তৃণমূল নেতৃত্বের আশা, সেপ্টেম্বর মাসেই ভবানীপুর-সহ রাজ্যের বকেয়া উপনির্বাচন হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy