পূর্ণেন্দু বসু। ফাইল চিত্র
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে বেড়ে চলা কৃষক আন্দোলনের পাশে থাকবে তৃণমূলের কৃষক সংগঠন। দায়িত্ব নেওয়ার পরদিন এমনটাই বললেন কিষান ও ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু। রবিবার আনন্দবাজার ডিজিটালকে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা চাই, গোটা ভারতবর্ষ জুড়েই নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে একটা আওয়াজ উঠুক। ৬ মাসের উপর হয়ে গেল, কৃষকরা রাস্তায় বসে রয়েছেন। সরকার প্রায় নির্বাক। এর বিরুদ্ধে ওঠা সর্বভারতীয় আওয়াজের সঙ্গে আমরা অবশ্যই থাকব।’’ তাঁর নেতৃত্বাধীন সংগঠন কি এই কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে পূর্ণেন্দু বলেছেন, ‘‘সর্বভারতীয় কৃষক আন্দোলনে আমরা যুক্ত হব কিনা, তা নির্ভর করবে আমাদের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের উপর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং যোগাযোগ রাখছেন। এবং সাংগঠনিক স্তরে এ বিষয়ে কথা বলেই আমরা পদক্ষেপ করব। আমরা এই আন্দোলনের সমর্থনেই রয়েছি। আমরা চেষ্টা করব, সক্রিয় ভাবে যতদূর আমরা এগোতে পারি।’’
শাসকদলের এই সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। শনিবারের রদবদলে তাঁকে কৃষক সংগঠনের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে মূল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে। তাই আগে প্রাক্তন সভাপতির থেকে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিতে চান পূর্ণেন্দু। তিনি বলেছেন ‘‘আমার প্রথম কাজ হবে আগে যিনি সভাপতি ছিলেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলে গোটা সংগঠনটা বোঝার চেষ্টা করা। দ্বিতীয়ত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে এই সংগঠনের কাজে লাগানোর কথা ভেবেছেন, সেই ভাবনাকে রূপায়িত করার জন্য আমার পক্ষে যতদূর সম্ভব চেষ্টা করা।’’ সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের কৃষক আন্দোলনকেও নিজের সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবহার চান তিনি। পূর্ণেন্দুর কথায়, ‘‘বাংলার কৃষক আন্দোলনের দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য আছে। সেই সংগ্রামী ঐতিহ্যটাকে তুলে ধরা, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনের যে ইতিহাস রয়েছে, তাকে কৃষক আন্দোলনে যুক্ত করা আমাদের লক্ষ্য হবে। কৃষকদের যুক্তিসঙ্গত দাবি-দাওয়াকে সামনে নিয়ে এসে কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy