প্রতীকী ছবি।
ধর্মঘটী চা-শ্রমিকদের উপরে পুলিশের আক্রমণের প্রতিবাদে পথে নামল ট্রেড ইউনিয়নগুলির যৌথ মঞ্চ। কলকাতায় প্রতিবাদে সামিল হল বামেদের বিভিন্ন সংগঠনও। চা-বাগানে দু’দিনের ধর্মঘটের সমর্থনকারীরা মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের নানা জায়গায় মিছিল এবং অবরোধে নামলে পুলিশ লাঠি চালিয়েছিল তাঁদের উপরে। আহত হয়েছিলেন ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্ব-সহ সিপিএমের এক রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও এক জেলা সম্পাদকও। ধর্মঘটের আহ্বায়ক ২৯টি ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ মঞ্চের ডাকে বুধবার সিটুর রাজ্য দফতর থেকে শিয়ালদহ কোর্ট পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন শ্যামল চক্রবর্তী, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, রমেন পাণ্ডেরা। সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু বলেন, ‘‘কেন্দ্র শ্রম আইন সংস্কার করে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করছে। রাজ্য সরকার শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। আর চা-ধর্মঘটকে পাহাড়ের গোলমালের সঙ্গে এক করে দেখিয়ে অপপ্রচার চলছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবে।
টি-বোর্ডের সামনে জমায়েত করে লালবাজারে গিয়ে এ দিন পুলিশি ভূমিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রীরা। আবার অ্যাকাডেমি চত্বর থেকে বিড়লা তারামণ্ডল পর্যন্ত ধিক্কার মিছিল করেছে ডিওয়াইএফ ও এসএফআই। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এ দিনই চা-ধর্মঘটের পর্যালোচনা হয়েছে। পুলিশ ও শাসক দলের বাহিনীর আক্রমণাত্মক ভূমিকা সত্ত্বেও শ্রমিকেরা যে ভাবে ‘সর্বাত্মক’ ধর্মঘট করেছেন, তাকে উৎসাহব্যঞ্জক বলেই মনে করছে আলিমুদ্দিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy