দিঘায় শনিবার সকালে পর্যটকদের ভিড়। দুপুরে অবশ্য তাপপ্রবাহের কারণে তাঁদের হোটেলেই থাকতে হল। নিজস্ব চিত্র
গত কয়েক মাসের ‘খরা’ ঘুচল বাংলা নববর্ষের দিন। শনিবার ভিড়ে ঠাসা চেনা-ছবি ফিরল সৈকত শহর দিঘায়। তবে, পর্যটকদের আক্ষেপ, তীব্র গরমে আগের মতো সমুদ্রে চুটিয়ে স্নান করা যাচ্ছে না। সন্ধে পর্যন্ত রাস্তাতেও ঘোরার জো ছিল না।
কয়েক দিন ধরেই দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায় জারি রয়েছে তাপপ্রবাহ সংক্রান্ত সতর্কবার্তা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার পয়লা বৈশাখে দিঘায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ছিল, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছিল। আকাশ ছিল পরিষ্কার। দিনভর কড়া রোদ ছিল। আজ, রবিবারও একই রকম আবহাওয়া থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার থেকে রবিবার একটানা তিন দিনের ছুটি রয়েছে। শুক্রবার অম্বেডকর জন্মজয়ন্তী এবং চৈত্র সংক্রান্তি। আর শনিবার পয়লা বৈশাখ। শুক্রবার কার্যত ফাঁকা ছিল উপকূলের পর্যটন কেন্দ্রগুলি। সৈকত থেকে হোটেল— কোথাও সেই রকম পর্যটক ছিল না। তবে এ দিন ছবিটা বলেছে ওল্ড দিঘার এক হোটেল মালিক গিরিশচন্দ্র রাউত বলছেন, ‘‘শনিবার খানিকটা বেলা বাড়ার পরে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে দিঘায়। দুপুর পর্যন্ত প্রায় সব হোটেলেই ৮০ শতাংশ ঘর ভাড়া নেওয়া হয়ে গিয়েছে।’’ ওল্ড এবং নিউ দিঘা মিলিয়ে সাতশোর বেশি বেসরকারি লজ এবং হোটেল রয়েছে। অধিকাংশ হোটেল মালিকই জানাচ্ছেন, পয়লা বৈশাখ যাঁরা দিঘা বেড়াতে এসেছেন, তাঁরা প্রায় সকলেই এসি ঘর খুঁজেছেন। ছোট-বড় হোটেলে এসি ঘরের বুকিং প্রায় সম্পূর্ণ।
এ বছর ইংরেজি নববর্ষ এবং তার পরে দোল উপলক্ষে একটানা লম্বা ছুটিতে দিঘায় ভিড়ের পুরনো ছবি উধাও হয়ে গিয়েছিল। উৎসবের মরসুম একপ্রকার ফাঁকাই গিয়েছে। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দিঘা এবং মন্দারমণি জুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। এর ফলে গত কয়েক দিন প্রায় পর্যটকশূন্য হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল স্থানীয় হোটেল মালিকদের। তবু দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘শুক্রবারেও ফাঁকা থাকায় খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। অনেকেই গরমের কারণে হোটেলের বুকিং বাতিল করিয়েছিলেন। তবে এ দিন দুপুর থেকে বেশ ভাল সংখ্যক পর্যটক দিঘায় আসতে শুরু করেছেন।’’
যদিও এ দিন দুপুরে ওল্ড এবং নিউ দিঘাতে সামান্য কয়েক জন পর্যটককে সমুদ্রে নেমে স্নান করতে দেখা গিয়েছে। তা-ও আবার যাঁরা বেরিয়েছেন সেই সব পর্যটকদের প্রায় সকলেরই হয় মাথায় টুপি নয়তো ছাতা। এ প্রসঙ্গে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রতিনিয়ত দিঘায় তাপমাত্রা বাড়ছে। তাই পর্যটকদের সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে আগত পর্যটক এবং সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।’’
এ দিন মন্দারমণিতেও পর্যটকদের ভিড় বেশ ভালই ছিল। তবে সেখানেও পর্যটকেরা হোটেলবন্দি হয়েই রইলেন। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, প্রায় সকলেই এসি ঘর খুঁজছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy