ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে উত্তরাখণ্ড। ছবি— পিটিআই।
উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। পুজোর ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়েছেন হুগলির বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। চুঁচুড়া ও উত্তরপাড়া থেকে নৈনিতাল বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করা হবে কী ভাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিজনেরা।
চুঁচুড়া শ্যামবাবুর ঘাট ও গোরস্থান এলাকার সাতজন উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে দুর্যোগ আর ধসে আটকে পড়েছেন। গত ১৫ অক্টোবর ট্রেনে হাওড়া থেকে উত্তরাখণ্ড বেড়াতে যান ওই সাত বাঙালি পর্যটক। ১৬ অক্টোবর, তাঁরা নৈনিতাল পৌঁছন। সেখানে দু’দিন কাটিয়ে, তাঁদের ১৮ অক্টোবর, সোমবার কৌশানী যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নৈনিতাল থেকে কৌশানী যাওয়ার পথে ভওয়ালি নামে একটি জায়গায় আটকে পড়েন পর্যটকেরা। তিনদিন ধরে একটি গেস্ট হাউসেই আটকে রয়েছেন। এখনও খাবারের সমস্যা না হলেও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হচ্ছে তাঁদের। মোবাইলে চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাড়ির লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও সমস্যায় পড়ছেন আটকে পড়া পর্যটকেরা।
পরিবার সূত্রে খবর, নৈনিতাল থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে তাঁরা এমন জায়গায় আটকে রয়েছেন যেখান থেকে কোনওদিকে যাওয়ার উপায় নেই। রাস্তায় পাহাড় ধসে বন্ধ যান চলাচল। পাহাড়ি নালা উপচে হু-হু করে জল নামছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থাকলেও পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে তাঁরা কাজে নামতে পারছেন না। ভওয়ালির কাছে রাস্তায় আটকে আছে প্রায় ৫০০ গাড়ি। খাবারের ট্রাক রাস্তায় আটকে যাওয়ায় রসদের সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা।
বেড়াতে গিয়ে দুর্যোগে আটকে পড়া পর্যটকদের আত্মীয় বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী, মেয়ে-জামাই, জামাই এর মা ও তাঁর অফিসের তিন সহকর্মী বেড়াতে গিয়েছেন উত্তরাখণ্ডে। যা পরিস্থিতি, দু’এক দিনের মধ্যে তাঁদের উদ্ধার পাওয়ার আশা কম, যদি না হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা হয়। নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকায় ফোনেও যোগাযোগ করতে পারছি না, খুবই চিন্তায় আছি।’’
উত্তরপাড়ার মাখলার ঘোষ পরিবারও একই ভাবে আটকে পড়েছেন উত্তরাখণ্ডে। নৈনিতাল যাওয়ার পথে আলমোড়া জেলার বিনসরে আটকে আছেন তাঁরা। বিনসর থেকে মমি ঘোষ ফোনে বলেছেন, ‘‘এই মুহুর্তে বৃষ্টি কমেছে, তবে রাস্তায় ধস নেমে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।’’
অন্য দিকে, নৈনিতাল জেলার রামনগরে জিম করবেট ন্যাশনাল পার্কের বিস্তীর্ণ অংশ জলের নীচে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy