দুর্গাপুজোর মুখেই নতুন করে আর্থিক ক্ষতির মুখে মৌসুনি দ্বীপের পর্যটন শিল্প। —নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝ়ড় ইয়াস এবং পূর্ণিমার কটালের জোড়া ধাক্কা সামলে সবে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিলেন। আসন্ন উৎসবের মরসুমে নতুন করে ঢেলে সাজাও হচ্ছিল হোমস্টে-র কটেজগুলি। তবে দিন কয়েকের প্রবল বর্ষণে ফের সব কিছু তছনছ হয়ে গিয়েছে। ফলে দুর্গাপুজোর মুখেই নতুন করে আর্থিক ক্ষতির মুখে মৌসুনি দ্বীপের পর্যটন শিল্প এবং তার সঙ্গে জড়িতরা। সেখানকার কটেজ মালিকদের আক্ষেপ, পুজোর মুখে বৃষ্টিই তাঁদের লোকসান করে দিল।
ইয়াসের সময় সমুদ্রে ব্যাপক জলস্ফীতির জেরে প্লাবিত হয়েছিল গোটা মৌসুনি দ্বীপটাই। মুড়িমুড়কির মত ভেঙে পড়েছিল সেখানকার পঞ্চাশের বেশি হোমস্টে-র কটেজ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই নতুন করে তা মেরামতি শুরু হয়। কিন্তু নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে বালিয়াড়া এবং সল্টঘেরি এলাকা প্লাবিত। তছনছ হয়ে গিয়েছে হোমস্টে-র কটেজগুলিও। ফলে ফের লোকসানে মাথায় হাত হোমস্টে-র মালিক তথা পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত বাসিন্দাদের। স্থানীয় ব্যবসায়ী অরুময় গায়েন বলেন, ‘‘ইয়াসের দাপটে হোমস্টে-র কটেজগুলি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। পুজোর সময় পর্যটকের আশায় অনেক খরচ করে সেগুলি সাজিয়েছিলাম। কিন্তু বৃষ্টি সব শেষ করে দিল। কী ভাবে ঘুরে দাঁড়াব জানি না।’’
বস্তুত, সপ্তাহান্তে কলকাতার কাছেপিঠে ঘোরাফেরার জন্য অনেকের গন্তব্যের তালিকায় থাকে মৌসুনি। বছর পাঁচেক আগে এই দ্বীপের বালিয়াড়া এবং সল্টঘেরি এলাকায় সমুদ্রপাড়ে বেশ কয়েকটি কটেজ গ়ড়ে উঠেছিল। দিঘা বা বকখালির মতো পরিচিত পর্যটনকেন্দ্রের তুলনায় অনেকটাই নির্জন মৌসুনি। সেই নির্জনতার টানেই সুন্দরবন এলাকায় নামখানা ব্লকের মৌসুনিতে আসেন অনেকে। এখানে পা রেখে সাধারণত হোমস্টে-কেই বেছে নেন তাঁরা। গত কয়েক বছরে ইকো-টুরিজম বা হোমস্টে-র টানে বহু পর্যটকই ভিড় করেছেন এ দ্বীপে।
এখানকার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের বিপত্তিও কম নয়। দক্ষিণ সুন্দরবনের অন্য দ্বীপের মতোই প্রতিনিয়ত ভাঙনের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে হয় মৌসুনিকে। তবে নতুন করে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফের ক্ষতিগ্রস্ত এখানকার পর্যটন শিল্প। যদিও ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বাস দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর বলেন, ‘‘দুর্যোগের জেরে মৌসুনির অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মৌসুনি দ্বীপের পর্যটন নিয়ে উদ্যোগী হবে প্রশাসন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy