(বাঁ দিকে) আনোয়ারুল আজিম এবং মহম্মদ সিয়াম হোসেন (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকে খুনের অস্ত্র এবং দেহাংশ উদ্ধারে আপাতত মহম্মদ সিয়াম হোসেনের উপরেই নির্ভর করছে সিআইডি। শুক্রবার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। শনিবার বারাসত আদালতে হাজির করানো হলে সিয়ামকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক। তদন্তকারীরা জানান, সিয়ামকে জেরা করেই ওই অস্ত্র এবং দেহাংশের খোঁজ করা হবে। অস্ত্র এবং দেহাংশ পাওয়া গেলে বড় মাপের প্রমাণ যেমন পাওয়া যাবে তেমনই সিয়ামকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করাও সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, ঘটনার পর সিয়াম নেপালে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে সিআইডি দাবি করেছিল। তদন্তকারীদের দাবি, নেপাল থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে ঢোকার আগেই শুক্রবার তাকে পাকড়াও করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, সাংসদকে খুনের অস্ত্র কেনা হয়েছিল নিউ মার্কেট এলাকা থেকে। খুনের পরে কুচি-কুচি করা দেহ যে ট্রলি ব্যাগে পুরে খালে ফেলা হয়েছিল তাও নিউ মার্কেট এলাকা থেকেই কেনা হয়েছিল। এই কেনাকাটা এবং পরিকল্পনার মূল দায়িত্ব ছিল সিয়ামের উপরে। শুক্রবার পাকড়াও করার পরে সিয়ামকে জেরা করেই এই তথ্য সামনে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। গোয়েন্দারা এ-ও দাবি করেছেন যে ১৩ মে সাংসদকে খুনের পরে নিউ টাউনের আবাসন থেকে সাংসদের দেহাংশ ট্রলিতে পুরে ভাঙড়ের পোলেরহাট থানা এলাকার কৃষ্ণমাটি এলাকায় বাগজোলা খালে ফেলেছিল সিয়াম। তার সঙ্গে ছিল খুনে অন্যতম অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদার। পেশায় কসাই জিহাদকে প্রথমেই গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। এ ছাড়াও, বাংলাদেশ পুলিশ খুনে মূল অভিযুক্ত আখতারুজ্জামান ওরফে শাহিনের বান্ধবী শিলাস্তি রহমান এবং আরেক অভিযুক্ত আমানুল্লা ওরফে শিমুল ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করেছে।
সিআইডি সূত্রের দাবি, দেহাংশ খালে ফেলার পরে নিউ টাউনের ওই ফ্ল্যাটে ফিরেছিল সিয়াম। তার পরে সেখান থেকে তেঘরিয়ার একটি হোটেলে আশ্রয় নেয় সে। ১৬ মে বিহার হয়ে নেপালে চলে যায় সে। প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসে নেপাল থেকেই ভারতে এসেছিল আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা সিয়াম। প্রথমে শাহিনের রাজারহাটে আটঘরার একটি ফ্ল্যাটে উঠেছিল। তার পর পরিকল্পনামাফিক মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়া জিহাদকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল সে।
খালে দেহাংশ বাগজোলা খালে ফেলার কথা বললেও এ দিন পর্যন্ত সেখান থেকে কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। তবে নিউ টাউনের ওই আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে প্রায় পাঁচ কেজি ছোট ছোট মাংসের টুকরো উদ্ধার করেছে সিআইডি। জিহাদ জেরায় জানিয়েছিল যে সাংসদের মাংস এবং হাড় ছোট ছোট টুকরো করে কমোডে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই সেপটিক ট্যাঙ্কে তল্লাশি করেছিলেন গোয়েন্দারা। সিআইডির খবর, ওই মাংসের টুকরো ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। এখনও রিপোর্ট আসেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy