সাসপেনশন উঠে গেলেও বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশনে যোগ দেবেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শুভেন্দু ছাড়াও আরও তিন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিশ্বনাথ কারক এবং বঙ্কিম ঘোষকে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সাসপেনশনের সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
গত ১০ মার্চ বিধানসভার অধিবেশনে নিষেধ করা সত্ত্বেও কথা বলতে থাকায় বিজেপির দুই বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং মনোজ ওঁরাও-কে মার্শাল ডেকে বারও করে দেন স্পিকার। দুই সতীর্থকে অধিবেশনকক্ষ থেকে বার করে দেওয়ার প্রতিবাদে বিধানসভার কার্যবিবরণীর কাগজ ছিঁড়ে ফেলেন ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক। সেই কারণে স্পিকার তাঁকে সাসপেন্ড করেন। চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বে ওয়েলে নেমে কাগজ ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য শুভেন্দু-সহ চার পদ্ম বিধায়ককে ৩০ দিনের জন্য সাসপেন্ড করেন স্পিকার। তাঁদের এক মাসের সাসপেনশনের মেয়াদ মঙ্গলবারই শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিধানসভার বাজেট অধিবেশন চলবে। ফলে বিরোধী দলনেতা দু’দিনের জন্য চলতি অধিবেশনে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু দীপককে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে তিনি অধিবেশনে যোগ না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বিধানসভায় নিজের ঘরে শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র।
অন্য দিকে, বিধানসভার তরফে আয়োজিত ইফতারে যোগ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকে। মঙ্গলবার বেলায় বিধানসভার কর্মীরা শুভেন্দুর ঘরে গিয়ে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন। আগামী বৃহস্পতিবার এই ইফতারে যোগ দেওয়ার কথা স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের।
আরও পড়ুন:
আমন্ত্রণপত্র হাতে নিয়ে বিধানসভার কর্মীদের ইদের শুভেচ্ছা জানান তিনি । বিরোধী দলনেতার দাবি, ইফতারের অনুষ্ঠানের প্রথম আমন্ত্রণপত্রে তাঁর নাম ছিল না। পরে স্পিকারের নির্দেশে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।