মহাকুম্ভের সাফল্য নিয়ে লোকসভায় বক্তব্য পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে লোকসভায় বলতে ওঠেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতেই মহাকুম্ভের সাফল্যের জন্য দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানান মোদী। বলেন, “প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভের সাফল্যের নেপথ্যে যাঁদের অবদান, দেশের সেই সব কোটি কোটি মানুষকে আমি নতমস্তকে প্রণাম জানাচ্ছি।”
মহাকুম্ভের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে মোদী বলেন, “গোটা বিশ্ব ভারতের শক্তি দেখেছে। যাঁরা আমাদের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, মহাকুম্ভ তাঁদের জবাব দিয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী এ-ও জানান যে, মহাকুম্ভে ‘ভারতীয় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির উদ্যাপন’ হয়েছে। সাম্প্রতিক মরিশাস সফরের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী জানান, সে দেশে তিনি পবিত্র গঙ্গাজল নিয়ে গিয়েছিলেন।
মোদীর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শুরু হতেই বিরোধী বেঞ্চ থেকে হইচই শুরু হয়। স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধীদের সংসদীয় নিয়মকানুনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা যায় না।” তার পরেও হইচই থামেনি। দুপুর ১টা পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন স্থগিত করে দেন স্পিকার।
ফেব্রুয়ারিতে কুম্ভমেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ৪৫ দিন ধরে ‘একতার মহাযজ্ঞ’ পরিচালনার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানান উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে। কুম্ভে পুণ্যার্থীরা প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা এবং পৌরাণিক সরস্বতী নদী— এই ত্রিবেণি সঙ্গমে পুণ্যস্নান করেছেন। এই তিন নদীর নামোল্লেখ করে মোদী লিখেছিলেন, “মা গঙ্গা, যমুনা এবং সরস্বতীর কাছে প্রার্থনা করে বলছি, আমাদের পুজোয় কোনও খামতি থাকলে ক্ষমা করে দেবেন।”