ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ‘বিদ্রোহের’ শিকড় কত দূর গিয়েছে, তা নিয়ে দলের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। নেতা-মন্ত্রী থেকে নিচুতলা পর্যন্ত আরও কেউ শুভেন্দুর পথে আছেন কি না, থাকলে তাঁরা কে, সে সব নিয়েও জল্পনা বিস্তর।
এই অবস্থায় তৃণমূল নেতৃত্বও কঠোর পদক্ষেপের পাল্টা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এ নিয়ে বোঝাপড়া শেষ করতে দল আর সময় দিতে রাজি নয়। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বুধবার বলেন, ‘‘ভদ্রতা যেন কোনও ভাবেই দুর্বলতা হিসেবে প্রমাণিত না হয়, কোনও কোনও সময় তা স্পষ্ট করা জরুরি।’’
তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব নিয়ে কোনও স্তরেই কেউ প্রশ্ন তোলেন না। শুভেন্দুও সরাসরি সে প্রশ্ন তোলেননি। দলের মধ্যে ‘নব্য নেতৃত্বের উত্থান’ই তাঁদের অভিযোগের মূল বিষয়। অনুরূপ ক্ষোভ আরও কারও কারও মধ্যে তৈরি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। যার আঁচ পৌঁছেছে কলকাতাতেও। অনেকের ধারণা, শুভেন্দুর ‘বিদ্রোহ’ সেই ক্ষোভ উসকে দেওয়ার পক্ষে কাজ করতে পারে। তৃণমূলও মনে করে, ভোটের আগে এ সব জিইয়ে রাখা দলের পক্ষে স্বস্তিকর নয়।
আরও পডুন: প্রথম দিনেই দূরত্ব-বিধি শিকেয়, বাড়াতে হল ট্রেন
এখানেই তৃণমূলের শীর্ষ মহল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পাল্টা আঙুল তুলছেন। অধিকারী পরিবার তৃণমূলে যে ‘প্রাধান্য, সুযোগ ও ক্ষমতা’ পেয়েছে, সে সব সামনে এনে প্রয়োজনে দ্রুত প্রতি-আক্রমণে যাওয়ার ভাবনা শুরু হয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে। দলের এক নেতার বক্তব্য, ‘‘সংগঠন ও সরকারের অনেক বড় দায়িত্ব এখনও শুভেন্দুর কাঁধে। কিন্তু তিনি কি সেই দায়িত্ব আদৌ যথাযথ পালন করছেন? না করলে, কেন? মানুষের সামনে এ সবও স্পষ্ট হওয়া উচিত।’’
দলে ‘নব্য নেতৃত্বের’ উত্থান নিয়ে শুভেন্দুর ক্ষোভের বিষয়টিকে ‘মিথ্যাচার’ বলে নস্যাৎ করে তৃণমূলের ওই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, ‘‘গত লোকসভা ভোটে দল কিছুটা ধাক্কা খাওয়ার পরে সাংগঠনিক রদবদলে সব থেকে বেশি গুরুত্ব পান শুভেন্দু। সেই সময়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকা একাধিক জেলাতেও পর্যবেক্ষক করা হয় শুভেন্দুকে। সব মিলিয়ে পাঁচটি জেলা ছিল তাঁর পর্যবেক্ষণে। পর্যবেক্ষক পদ অবলুপ্তির পরে শীর্ষ স্তরে দলের যে কমিটি তৈরি হয়েছে, সেখানেও আছেন শুভেন্দু। এ ছাড়াও তিনি কয়েকটি কর্পোরেশন এবং উন্নয়ন পর্ষদের শীর্ষে রয়েছেন।’’
কাঁথির অধিকারী পরিবারে এখন মন্ত্রী শুভেন্দু ছাড়াও তাঁর বাবা শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু তৃণমূলের সাংসদ। আর এক ভাই সৌমেন্দু পুরসভার দায়িত্বে। তাই ক্ষমতা না পাওয়া বা পরিবারতন্ত্রের শিকার হওয়ার অভিযোগও শুভেন্দুর মুখে মানায় না বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই অবস্থায় শুভেন্দুর অবস্থান অবিলম্বে স্পষ্ট করতে পূর্ব মেদিনীপুরের দলীয় সভাপতি শিশিরবাবুকে দলের তরফে বলা হয়েছে। শিশিরবাবু অবশ্য এ দিনও জানিয়েছেন, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে নেত্রীর সঙ্গে তাঁর নিয়মিত কথা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy