বার বার ওঠা পার্থ প্রসঙ্গ বার বারই এড়িয়ে গেল তৃণমূল। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি শুরু তিন দিন পর। জেলে থাকা দলচ্যুত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বদলে কে সামলাবেন তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পশ্চিম? রবিবার কর্মসূচি সংক্রান্ত সাংবাদিক সম্মেলনে বসে তৃণমূলের দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশিস কুমার জোর দিলেন ‘যৌথ নেতৃত্বের’ উপর। এবং বার বার ওঠা পার্থ প্রসঙ্গ বার বারই এড়িয়ে গেলেন তিনি।
বেহালার পর্ণশ্রী এলাকার এক কমিউনিটি হলে এই সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিল বেহালা পশ্চিম বিধানসভা এলাকার তৃণমূল। সেখানেই ছিলেন জেলা সভাপতি দেবাশিস, যিনি রাসবিহারী কেন্দ্রের বিধায়কও। ছিলেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ও। এক বারের জন্যও স্থানীয় বিধায়ক তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর নাম মুখে আনেননি দেবাশিস। তাঁর কথায়, ‘‘কেউ বেহালা পশ্চিম থেকে জিতেছেন। বেহালা পূর্ব থেকে রত্না চট্টোপাধ্যায় জিতেছেন। আমি রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে জিতেছি। প্রত্যেকটি জয়ের ক্ষেত্রেই আমাদের ব্যক্তিগত কোনও কারিশমা নেই। সব জয় এসেছে ঘাসের উপর জোড়া ফুল চিহ্নের প্রতীক দেখে। দল যখন যাকে দায়িত্ব দেবে তখন সে দায়িত্ব পালন করবে এর বেশি কিছু নয়।’’ পার্থ সংক্রান্ত প্রশ্ন বার বার ওঠায় এক সময় দেবাশিস বলেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তাই সেই সংক্রান্ত বিষয় বাদ দিয়েই কথা বলা হোক।’’
কিন্তু এলাকায় কর্মসূচি পালন করতে বেরিয়ে তো পার্থ সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়তেই হতে পারে? সে ক্ষেত্রে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষকে কী জবাব দেবেন? এই প্রশ্নেও পার্থকে এড়িয়ে জবাব দিয়েছেন দেবাশিস। তিনি বলেন, ‘‘দিদি সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে মোট ১৫টি প্রকল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছে আমাদের। সেই তালিকায় আপনারা যে বিষয়ে প্রশ্ন করছেন সেই বিষয়টির উল্লেখ নেই।’’ কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে বেহালা পশ্চিমের মানুষ বিধায়কের পরিষেবা পাচ্ছেন না। সে ক্ষেত্রে কী ভূমিকা নেবে শাসকদল? এমন প্রশ্নের জবাবে রাসবিহারীর বিধায়ক বলেন, ‘‘বিধায়ক হিসাবে যে কেউ শংসাপত্র বা পরিষেবা দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দলের অনেক বিধায়ক রয়েছেন। তাই সাধারণ মানুষের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আমিও সেই পরিষেবা দিতে পারি, আবার অন্য কোনও বিধায়কও দিতে পারেন।’’
বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে কার নেতৃত্বে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি চলবে, তা এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়নি বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর। আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে রাজ্য জুড়ে এই কর্মসূচি শুরু হবে। কিন্তু বেহালা পশ্চিমে কার তত্ত্বাবধানে এই কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল? কোনও নাম না বলে যৌথ নেতৃত্বের কথা উঠে এসেছে দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূলের সভাপতির মুখে।
গত বছর ২৩ জুলাই নাকতলার বাসভবন থেকে বেহালার পশ্চিমের বিধায়ক তথা তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫২ কোটি উদ্ধার করা হয়। তার দায়ও পড়েছে পার্থর ঘাড়েও। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। গত বছর ২৯ জুলাই তাঁকে মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বার করে দিয়েছে তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy