প্রতীকী চিত্র।
ক্ষোভটা অনেক দিন ধরেই জমাট বাঁধছিল। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার নাম করে নদিয়ার হরিণঘাটার কাষ্ঠডাঙা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল তৃণমূলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে।
গত লোকসভা ভোটে হরিণঘাটা ব্লকে তৃণমূলের ভরাডুবি হওয়ার পরে পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। কাষ্ঠডাঙা ১ পঞ্চায়েতের সাহেববাড়ির বেশ কিছু মানুষ রবিবার নগরউখড়ায় হরিণঘাটা ব্লক তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল দেবনাথের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ করেন, আবাস যোজনার ঘরের জন্য বরাদ্দ লাখ দেড়েক টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলের স্থানীয় নেতারা তাঁদের থেকে অন্তত ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। কারও কাছ থেকে আরও বেশি টাকা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁদের অনেকেই ঘর পাননি বলে অভিযোগ।
ওই উপভোক্তাদের মধ্যে ছিলেন রফিকউদ্দিন মণ্ডল, ভজন সরকাররা। তাঁদের দাবি: চঞ্চল তাঁদের জিজ্ঞাসা করেন, সরকারি আবাস প্রকল্পের টাকা পেতে তাঁরা নেতাদের টাকা দিয়েছেন কেন। ভজনেরা বলেন, ঘুষ না দিলে ঘর তৈরির টাকা পাওয়া যাবে না বলে ওই নেতারা জানিয়ে দিয়েছিলেন। চঞ্চল তাঁদের আশ্বাস দেন, অভিযোগ সত্যি হয়ে থাকলে তিনি টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। বস্তুত, টাকা দিয়েও ঘর না পাওয়ার ক্ষোভ তাঁদের হরিণঘাটায় হারিয়ে দিতে পারে বলেও ভোটের আগে আশঙ্কা করছিলেন ব্লক তৃণমূলের নেতারা।
চঞ্চলের আশ্বাস মতো রবিবারই কাষ্ঠডাঙার একটি মন্দিরের মাঠে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সোমবার কাষ্ঠডাঙা পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা আফতাবউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমার ভাইপো মিজু মণ্ডল, পাড়ার খলিল মণ্ডল টাকা ফেরত পেয়েছে।’’ তাঁরা জানান, হরিণঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দাসের সামনেই কয়েক জনকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
চঞ্চলের দাবি, ‘‘এলাকার কোনও নেতা টাকা নিলে এ ভাবেই তা ফেরত দিতে বাধ্য করা হবে।’’ আর চিত্তরঞ্জন দাবি করছেন, ‘‘ভবিষ্যতে গরিব মানুষের কাছ থেকে আর কেউ টাকা নিতে সাহস পাবে না।’’ আফতাবেরা পাল্টা বলছেন, ‘‘টাকা নেওয়ার সময়ে ওঁরা কি জানতেন না? বেকায়দায় পড়ে এখন ভাল-ভাল কথা বলছেন!’’
বিজেপির হরিণঘাটার গ্রামীণ মণ্ডলের সভাপতি সুভাষ দাসের অভিযোগ, ‘‘শুধু ওই অঞ্চলে নয়, গোটা ব্লক জুড়েই তৃণমূলের নেতারা ঘর দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছে। এখন দু’এক জনকে টাকা ফেরত দিয়ে তৃণমূল নাটক করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy