অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
দলের দু’দিনের কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগের দিন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কৌশল-বৈঠকে বসতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রাজ্যের শাসকদল সূত্রে খবর, রবিবার রাত ৮টা নাগাদ বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের দিল্লিস্থিত সরকারি বাসভবনে বৈঠকটি হতে পারে। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা দলের বেশ কিছু সাংসদ এবং শীর্ষস্থানীয় নেতানেত্রীর। এই বৈঠকেই সোমবার এবং মঙ্গলবার দলের দু’দিনের কর্মসূচির রূপরেখা চূড়ান্ত হতে পারে বলে ওই সূত্রের খবর।
আগেই তৃণমূলের তরফে দলের বেশ কিছু সাংসদ এবং নেতানেত্রীদের রবিবারের মধ্যে দিল্লি পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া। তাঁদের অধিকাংশই রবিবার দুপুরের মধ্যে রাজধানীতে পৌঁছে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার দিল্লিতে পা রাখছেন অভিষেকও। তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিষেক দিল্লি পৌঁছনোর পরেই এই বৈঠক শুরু হতে পারে। বৈঠকের পাশাপাশি একটি নৈশভোজও হতে পারে সৌগতের বাসভবনে। ওই নৈশভোজে দলের বেশ কিছু রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদ এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতামন্ত্রীদের ডাকা হয়েছে।
২ অক্টোবর, সোমবার রাজঘাটে কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। কিন্তু ওই দিন মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন হওয়ায় রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি-সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারণে কখন রাজঘাটে ঢোকার অনুমতি মিলবে, তা স্পষ্ট নয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছেও। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, দলের বেশ কিছু সাংসদ এবং মন্ত্রী রাজঘাটে যাবেন। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কী পরিকল্পনা নেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত হবে রবিবার রাতের বৈঠকে।
ট্রেন না পেয়ে শনিবারই সড়কপথে দিল্লি পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল। শনিবার সকালেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সামনে একের পর এক দূরপাল্লার স্লিপার ক্লাসের বাস এসে থামতে শুরু করে। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, ৫০টি বাসে করে দলের জনপ্রতিনিধি এবং একশো দিনের কাজের ‘বঞ্চিত’ জব কার্ড হোল্ডাররা দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ওই দিন প্রথম বাস ছাড়ে সকাল সাড়ে ১২টা নাগাদ। এই বাস ছাড়ার প্রক্রিয়া চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, রবিবার রাতের মধ্যেই দিল্লি পৌঁছে যাবে বাসগুলি। সে ক্ষেত্রে সোমবার সকালে দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় বাসের যাত্রীদের।
তৃণমূল সূত্রে খবর, দিল্লির পাহাড়গঞ্জ রোড, চিত্তরঞ্জন পার্ক, দিল্লি কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকার অতিথিশালা এবং পান্থনিবাসগুলিতে বাসযাত্রীদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা ও অন্যান্য আর্থিক দাবি আদায়ে গত জুলাইয়ে দিল্লির কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। সেই মতোই আগামী সোমবার এবং মঙ্গলবার দু’দিনের এই কর্মসূচি। দলের নেতা-কর্মীর পাশাপাশি কাজ করেও টাকা পাননি, এমন মানুষদের নিয়েই দিল্লিতে এই কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল। আগামী সোমবার গান্ধীজি’র জন্মদিনে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করবে তৃণমূল। মঙ্গলবার যন্তর মন্তর থেকে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দফতর পর্যন্ত মিছিল করারও কথা রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy